ইবিতে বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র নির্মাণে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে চুক্তি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অভ্যন্তরে ইনডোর টাইপ ১০/১৪ এমভিএ ৩৩/১১ কেভি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র নির্মাণে কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে ইবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার ইসমাত কামাল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিনা ভাড়ায় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ৪০ শতাংশ জমি ব্যবহার করতে দেবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে। এই জমিতে কুষ্টিয়ার বটতৈল গ্রীড উপকেন্দ্র থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩৩ কেভি সোর্স লাইন স্থাপন এবং একটি ইনডোর টাইপ উপকেন্দ্র নির্মাণ করবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
সাবস্টেশন পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামো নির্মাণ করবে দ্বিতীয় পক্ষ (পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি)। তবে নির্ধারিত জমিতে উপকেন্দ্রের বাইরে অন্য কোনো স্থায়ী বা অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না।
চুক্তি অনুযায়ী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পার্শ্ববর্তী এলাকায় জনস্বার্থে সরবরাহ করতে পারবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
বিশ্ববিদ্যালয় নিজ খরচে অভ্যন্তরীণ ১১ কেভি, ০.৪ কেভি ও ০.২৪ কেভি লাইন এবং প্রাইমারী মিটারিং ইউনিট স্থাপন করবে। ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্ধারিত রেট অনুযায়ী নগদে পরিশোধ করা হবে।
চুক্তির আওতায় দ্বিতীয় পক্ষ বা তাদের নিযুক্ত প্রতিনিধি নির্ধারিত অভ্যন্তরীণ রাস্তা ব্যবহার করে উপকেন্দ্র পরিচালনার জন্য সার্বক্ষণিক চলাচল করতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে এই চুক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছে সংশ্লিষ্টরা।