ইবিতে শিক্ষার্থীর ওপর মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ, তদন্তে প্রশাসন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অলিক কুমার শিকদারের ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আইসিটি বিভাগের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন অলিক কুমার। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে হোয়াইট হাউজ মেসে সিটসংক্রান্ত বিষয়ে আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী সোলাইমান তাকে ৩০২ নম্বর রুমে ডেকে নেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন একই বিভাগের তালাস, সমাজকল্যাণ বিভাগের রোমানসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন। সেসময় মতবিরোধের জেরে তার ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হয় এবং তাকে মারধরের হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়।
অলিক কুমার জানান, অতিরিক্ত মানসিক চাপে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং পরে নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে আবিষ্কার করেন। পরদিন সকালে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি কিছুটা সুস্থ থাকলেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না বলে জানান।
অভিযোগের বিষয়ে হোয়াইট হাউজ মেসের পরিচালক ও আইসিটি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোলাইমান হোসেন বলেন, “ভুক্তভোগী সিট নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ করলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। তর্ক-বিতর্ক হয়েছে ঠিকই, তবে কেউ নির্যাতন করেনি। সে হয়তো প্যানিক অ্যাটাকে ভুগেছে। ব্যক্তি আক্রোশ থেকে এমন প্রচার চালানো হচ্ছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। প্রক্টরিয়াল বডি বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”
ঘটনাটি নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের একাংশ অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।