বিধ্বস্ত বিমান নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় আতঙ্কের চিত্র

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমানটি ভেঙে পড়ার পর আশপাশ থেকে ছুটে এসেছিলেন অনেকে। তবে দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে ছিলেন কলেজটির নিরাপত্তাকর্মী আকবর হোসেন। তিনি সমকালকে মাইলস্টোনে কী ঘটেছিল তার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার সময় ৫ম থেকে ৮ম শ্রেণির ছুটি হয়। শিক্ষার্থীরা কেবল বের হচ্ছিল। এসময় হঠাৎ বিকট শব্দের পর তিনতলা ভবনের সামনের নারিকেল গাছ ভেঙে ভবনে ধাক্কা দেয় বিমানটি। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। আকবর হোসেন বলেন, তিনতলা ভবনের নিচতলা মাটির নিচে, সেখানে ক্লাস হয় না। বিমানটি সেখানে ঢুকে পড়ে।
স্কুল ভবন থেকে ১০০ গজের মধ্যে মোহাম্মদ জইমত আলীর এক্সক্যাভেটর মেরামতের গ্যারেজ। সেখানে চালক আপন আহমেদ কাজ করছিলেন। উড়োজাহাজ খুব নিচু দিয়ে উঠতে দেখে তারা দুজনে কিছুটা অবাক হয়েছিলেন।
কয়েক মুহূর্ত পরেই বিকট শব্দ শুনে তারা প্রথমে ছুটে যান পাশের মেট্রোরেলের ডিপোর দিকে। পরে তারা দেখেন, স্কুল থেকে আগুন বের হচ্ছে।
এদিকে দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা যখন ক্লাসে ছিলাম, তখন বিস্ফোরণের মতো একটা শব্দ হইছে। আমরা কেউ বুঝতে পারিনি প্রথমে। তারপর হঠাৎ যখন সবাই দৌড়াদৌড়ি, ছোটাছুটি করল- তারপর স্যার আসলেন। বললেন- পুরো বিল্ডিংয়ে আগুন ধরে গেছে। তারপর দেখি ফায়ার সার্ভিস।’
‘আগুন নেভাতে বেশি সময় লাগেনি, কিন্তু ভেতরে অনেক মানুষ ছিল। ছোট বাচ্চারা ছিল। ওদেরকে বের করতে অনেক সময় লাগে’, বলেন তিনি।
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক মানুষ