চাঁদা না দেওয়ায় গাড়ি ভাঙচুর করছে যুবদল নেতা

শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস পরিবহনের কোন গাড়ি যাত্রবাড়ী স্ট্যান্ডে গেলেই ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে গত দুই দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না বাস মালিক ও শ্রমিকসহ শরীয়তপুর সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
এদিকে, শরীয়তপুরের যাত্রাবাড়ী যেতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে যাত্রীরা।
এঘটনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুর জেলা শাখার আহবায়ক ইমরান আল নাজির একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে তিনি লিখেন, "যাত্রাবাড়ীতে যুবদলের এক নেতা শরীয়তপুরের সকল বাস থেকে চাঁদা চেয়েছে। এককালীন ৫ কোটি,নয়তো প্রতিমাসে ১০ লাখ। দু'দিন ধরে কোন বাস যাত্রাবাড়ী যেতে পারছে না, সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে আসতেও পারছে না। চরম ভোগান্তিতে শরীয়তপুরের মানুষেরা। সরকার প্রশাসনের চেয়ে কি চাঁদাবাজরা বেশি শক্তিশালী? সরকারের চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে জনতার চেয়ে কিন্তু শক্তিশালী নয়; ঢাকাস্থ শরীয়তপুরের সকল মানুষ যাত্রাবাড়ী জড়ো হলে এবং শরীয়তপুরের সকল মানুষ যাত্রাবাড়ী আসলে কেমন হবে? আর শরীয়তপুরের মানুষ কিন্তু খালি হাতে জড়ো হবে না।
এমনিই বললাম পরিস্থিতি যদি ঐদিকেই নিয়ে যায় তাইলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না।"
ওই যুবদল নেতার ছবি সহ অনেকেই প্রতিবাদ জানান। এতে ওই যুবদল নেতার নাম ফাহিম উল্লেখ করা হয়।
এব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বাস শ্রমিক বলেন, যাত্রাবাড়িতে আমাদের শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস বাস থেকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুবদল নেতা ফাহিমের লোকজন হামলা করছে। এতে দুই দিনে আমাদের ৭টি বাস ভাঙচুর করে।এসময় কয়েক বাস চালক ও শ্রমিক আহত হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন বাস মালিক বলেন, যাত্রাবাড়িতে চাঁদাবাজদের ভয়ে বাস যেতে পারছে না। তারা প্রভাবশালী, তাদের নাম বললে আমাদের অসুবিধা হবে।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ভুক্তভোগীরা যাতে আইনগত সহায়তা পেতে পারে এবং শরীয়তপুরের বাস যাতে নির্বিঘ্নে যাত্রাবাড়ীতে প্রবেশ করতে পারে এজন্য ডিএমপি'র উপপুলিশ কমিশনার ওয়ারীকে জানানো হয়েছে