গাইবান্ধার বৃদ্ধা জমিলা বেওয়ার পাশে দাঁড়ালেন সমাজসেবা কর্মকর্তা

অসহায় বৃদ্ধা জমিলা বেওয়ার দুঃখ-কষ্ট ও দরিদ্রতার কথা জানতে পেরে সাদুল্লাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায় নিজ অর্থায়নে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হন তার দরজায়।
গত ৭ জুলাই (সোমবার) বিকেলে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর উত্তরপাড়া গ্রামে সরেজমিন গিয়ে এই সহায়তা প্রদান করেন তিনি।
৭৩ বছর বয়সী জমিলা বেওয়া মৃত নজলা মিয়ার স্ত্রী। শরীরে এখনও শক্তি থাকলেও সংসারের হাল ধরতে হচ্ছে বিধবা পুত্রবধূ ও ১০ বছরের নাতিকে সঙ্গে নিয়ে। জীবিকার উপায় না থাকায় ভিক্ষাবৃত্তিই হয়ে উঠেছে একমাত্র অবলম্বন।
জমিলা বেওয়া সমাজসেবা অধিদপ্তরের বয়স্ক ভাতা তালিকাভুক্ত ছিলেন। তবে বয়সজনিত কারণে নিজের আঙুলের ছাপ পরিষ্কারভাবে না আসায় ছেলের আঙুলের ছাপে যুক্ত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেই ভাতা পেতেন তিনি। ছেলের মৃত্যুর পর, সেই নম্বর ব্যবহারের সুযোগ না থাকায় নাতনির মোবাইল নম্বর দিয়ে ভাতার তথ্য হালনাগাদের আবেদন করেন তিনি।
কিন্তু আবেদন করার পর বহুদিন পার হয়ে গেলেও ভাতার অর্থ বন্ধ থাকায় তিনি কষ্টে দিন পার করছিলেন।
এই অসহায় অবস্থার খবর টাইমস টুডে’র জেলা প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানালে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করেন। তিনি নিশ্চিত করেন, আবেদনটি গৃহীত হয়েছে এবং প্রক্রিয়া চলমান।
মানিক চন্দ্র রায় বিষয়টি জানার পর সরেজমিন গিয়ে নিজ অর্থায়নে চাল, ডাল, আলু, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন জমিলা বেওয়ার হাতে।
সমাজসেবা কর্মকর্তা জানান, জমিলা বেওয়ার শারীরিক অসুস্থতা থাকলে তার পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি তার বিধবা পুত্রবধূর জন্য বিধবা ভাতার আবেদনপত্র দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগও নেওয়া হবে।