বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা ইউএনও’র

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে গত সাত মাসে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ২১টি বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করেছেন ইউএনও বি.এম তারিক-উজ-জামান। হরিনাকুন্ডু উপজেলাতে যোগদানের পর তিনি বাল্য বিবাহকে লালকার্ড দেখিয়েছেন। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ইতিমধ্যে ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার এই কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মুন্সি ফিরোজা সুলতানা। তার এই উদ্যেককে স্বাগত জানিয়েছেন হরিনাকুন্ডু বাসী। ইতিমধ্যে বাল্য বিবাহ অনেকটা কমে গেছে হরিনাকুন্ডু উপজেলায়।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর হরিনাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন বি.এম. তারিক উজ-জামান। প্রশাসনিক অন্য কাজের পাশাপাশি তিনি বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা মুলক কাজ, বাল্য বিবাহ বন্ধ,উঠান বৈঠক করছেন। একই সাথে তিনি আত্মহত্যা প্রবন হরিনাকুন্ডুতে আত্মহত্যা প্রতিরোধেও সভা সেমিনার, সামাজিক নানান কাজ করছেন। এই উপজেলাতে যুক্ত হবার পর তিনি সরকারি অন্যান্যা কাজের পাশাপাশি এই সামাজিক কাজ করছেন।
হরিনাকুন্ডু উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মুন্সি ফিলোজা সুলাতানা জানান, নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিস বি.এম তারিক-উজ-জামান এই উপজেলা যোগদানের পর থেকে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে গত ৭ মাসে প্রায় ২১টি বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে। এছাড়াও ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। এছাড়াও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে মহিলা অধিদপ্তরের আয়োজনে ১৮টি উঠান বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি.এম তারিক-উজ-জামান বলেন, বাল্য বিবাহ গৃহকেন্দ্রীক নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ এবং বাল্য বিবাহ নারীর ক্ষমতায়নের পথে অন্যতম অন্তরায়, র্বতমানে বাল্যববিাহ বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাল্য বিবাহের কারণে পারবারিক কলহ সৃষ্টি হয় যা আত্মহত্যা প্রবনতা বাড়ায় তাই হরিনাকুণ্ডুতে আমরা বাল্যববিাহ প্রতিরোধে অত্যন্ত সোচ্চার। ইতোমধ্যে উপজেলা র্পযায়ে বাল্যববিাহ প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণে বিশেষ সভা করা হয়েেছ যখোনে উপজলো বাল্যববিাহ নিরোধ কমিটির সদস্যগণ ছাড়াও সমাজের নানা শ্রেণী-পেশার প্রতনিধিগিণ উপস্থতি ছিলেন। উক্ত বিশেষ সভায় উপজেলার আটটি ইউনিয়নের আটজন ও পৌরসভার দুইজন কাজীকে বাল্য বিবাহ বন্ধে আরও সক্রিয় ভুমিকা পালনের জন্য বিশেষভাবে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমি আশা করি সকলের সক্রিয় ভুমিকায় খুব দ্রুতই হরিনাকুন্ডু উপজেলায় বাল্য বিবাহের কার সন্তোষজনক পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।