“শহীদের সংখ্যা নিয়ে তামাশা করা হয়েছে”: জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাশেদ খাঁনের ক্ষোভ

জুলাই ঘোষণাপত্রে শহীদের সংখ্যা নিয়ে তামাশা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। তিনি বলেছেন, ঘোষণাপত্রে তথ্যবিকৃতি ও একপাক্ষিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে, যা আন্দোলনের চেতনাকে অসম্পূর্ণ করে তোলে।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খাঁন বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্রে শহীদের সংখ্যা নিয়ে তামাশা করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে শহীদের সংখ্যা প্রায় ১,০০০ জন। অথচ জাতিসংঘের প্রতিবেদনে তা ছিল ১,৪০০। আবার সরকারি গেজেটে উল্লেখ আছে ৮৩৬ জনের নাম। এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এমন অসঙ্গতি দুঃখজনক।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ঘোষণাপত্রে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, কোটাবিরোধী আন্দোলন, শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড, এমনকি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোকেও উপেক্ষা করা হয়েছে। আমরা আপাতত এই ঘোষণাপত্র বর্জন করছি না, তবে এর সংস্কার দাবি করছি। এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত না হলে আমরা বর্জনে যেতে বাধ্য হবো।”
মুক্তিযুদ্ধপূর্ব ও পরবর্তী ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ঘোষণাপত্রে তুলে ধরার বিষয়টি ‘ইতিবাচক’ বলে স্বীকার করেন রাশেদ খাঁন। তবে তিনি বলেন, “২০২৪ সালে যে বাস্তবতায় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপট উপেক্ষা করে একপাক্ষিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই ঘোষণাপত্র এমনভাবে তৈরি হয়েছে, যেন কিছু নির্দিষ্ট দল ও গোষ্ঠীর রাজনৈতিক বিবরণীরই প্রতিফলন ঘটেছে। অথচ এটি হওয়া উচিত ছিল জনগণের অভ্যুত্থানের প্রতিফলন।”