কক্সবাজারে এনসিপির 'দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা' শুরু

কক্সবাজারে শুরু হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি। শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।
প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এ পদযাত্রা শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে বেলা দেড়টার দিকে পৌছায় লালদীঘির পাড়ের পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে, যেখানে শহীদ দৌলত ময়দানে একটি জনসমাবেশ আয়োজন করা হয়।
জনসমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকেই কক্সবাজার জেলার টেকনাফ, উখিয়া, রামু, চকরিয়া, ঈদগাঁও, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলা থেকে হাজারো নেতা–কর্মী ও সমর্থক সমবেত হন শহরে। তাঁদের হাতে ছিল ব্যানার, ফেস্টুন ও বিভিন্ন দাবি-দাওয়ামূলক স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড। কর্মসূচিতে ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়—বাংলা কি তোর বাপ–দাদার?’, ‘ক্ষমতা না জনতা—জনতা, জনতা’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর ছিল শহরের রাজপথ।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সুজা উদ্দিন জানান, জনসমাবেশে ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষের সমাগম ঘটতে পারে বলে তাঁদের প্রত্যাশা। তিনি বলেন, “এই কর্মসূচি এনসিপির সাংগঠনিক শক্তি ও রাজনৈতিক বিকল্প হিশেবে জনগণের প্রত্যাশা তুলে ধরবে।”
কর্মসূচি ঘিরে শহরের বিভিন্ন স্থানে তোরণ ও ব্যানার লাগানো হয়েছে এনসিপি নেতাদের স্বাগত জানিয়ে।
পদযাত্রা ঘিরে কক্সবাজারে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “গোপালগঞ্জের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি যেন না ঘটে, সে জন্য আমরা সতর্ক আছি। পুলিশের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী।”