সাত দফা নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উত্তাল জামায়াতের সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের মূলপর্ব শুরু হয়। সমাবেশ পরিচালনা করছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পারওয়ার।
দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান দুপুর সোয়া ১২টায় সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। ডা. শফিকুর রহমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করলে রাস্তার দু’পাশে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে তাকে স্বাগত জানান। এ সময় হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান জামায়াত আমির। মহাসমাবেশে আমিরের সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় সমাবেশের প্রথম পর্ব। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সাইফুল্লাহ মানসুর। সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পরিচালনা করে সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠী।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা থেকেই সারা দেশ থেকে জামায়াতের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। আজ সকালে মিছিল নিয়ে উদ্যানে উপস্থিত হন হাজারো নেতাকর্মী।
সকাল ১০টার দিকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। জায়গা না হওয়ায় উদ্যানের আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নিতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট, মৎসভবন, কাকরাইল, বাংলামোটর, সায়েন্সল্যাবসহ আশেপাশের এলাকায় জামায়াত নেতাকর্মীদের অবস্থান নিতে থাকেন।
সমাবেশের সাত দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন ও এক কোটিরও বেশি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।
স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করছে জামায়াতে ইসলামী। আর ২০০৯ সালের পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের প্রথম সমাবেশ করে দলটি।