সি-ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শেষ হলো রাবির ভর্তি কার্যক্রম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিনের ভর্তি পরীক্ষার আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) সি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই শিফটে আয়োজিত এই পরীক্ষায় দেশের ছয়টি কেন্দ্রে প্রায় ৯৮ হাজার ৮২০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
পরীক্ষার প্রথম শিফটে ৪৮ হাজার ১১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১২ হাজার ৬১৯ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১ হাজার ৬৫৮ জন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ হাজার ৭৬৭ জন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হাজার ১৪৩ জন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৯২৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রথম শিফটে উপস্থিতির হার ছিল ৮৮.২৮ শতাংশ।
দ্বিতীয় শিফটে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৫০ হাজার ৭১০ জন। এদের মধ্যে বিজ্ঞান ও অ-বিজ্ঞান উভয় গ্রুপের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে বিজ্ঞান গ্রুপের ১২ হাজার ৬১৯ জন ও অ-বিজ্ঞান গ্রুপের ১ হাজার ৫৮২ জন পরীক্ষার্থী ছিল। দ্বিতীয় শিফটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে উপস্থিতির হার ছিল ৮৮.১১ শতাংশ।
পরীক্ষার দিন ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা একাডেমিক ভবনের সামনের চত্বরে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব। এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মতিয়ার রহমান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ইফতিখারুল আলম মাসউদ, প্রক্টর প্রফেসর মো. মাহবুবর রহমান এবং জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর মো. আখতার হোসেন মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এবার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সুবিধার্থে রাজশাহী ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, রাজশাহী ওয়াসা, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এবং রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব বায়োসায়েন্সসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর মো. আখতার হোসেন মজুমদার। তিনি ভবিষ্যতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।