ভোলায় ফের বাস-সিএনজি শ্রমিকের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

ভোলায় ফের বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের মধ্যে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে বাস শ্রমিকরা। তারা ভোলা - চরফ্যাশন মহাসড়কে সিএনজি চলাচল নিষিদ্ধ চেয়ে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসটার্মিনালের ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের উপরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
সোমবার (৫ মে) সকাল থেকে ভোলার সকল রুটে সিএনজি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। রোববার সন্ধ্যার পর থেকে এই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেন বাস শ্রমিকরা।
জানা যায়, ৪ মে বিকেল ৪টায় দৌলতখান থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাস হাজি এন্টারপ্রাইজ ভোলার উপশহর বাংলাবাজার নামক এলাকায় আসলে সেখানে দাড়িয়ে থাকা একটি সিএনজির সাথে ধাক্কা লাগে। সেখানে সিএনজি চালক ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, বিকেলে হাজি এন্টারপ্রাইজ নামের বাসটির সাথে সিএনজি ধাক্কা লাগে। পরে কয়েকজন সিএনজি চালকরা একত্রিত হয়ে বাস চালক জাকির হোসেনকে মারধর করেন। এরই প্রেরিক্ষেতে বাস শ্রমিকরা মহাসড়কে সিএনজি চলাচল নিষিদ্ধ চেয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেন।
এদিকে সিএনজি চালকদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন কর্মসূচির খবর পাওয়া যায়নি। তবে সিএনজি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তারা বলছেন, সিএনজি চালকদের সাথে বাস শ্রমিকরা প্রায় ঝামেলা করেন। মহাসড়কে সিএনজি চলাচল নিষিদ্ধের দাবীটি একেবারেই অযৌক্তিক। সিএনজি চালকদের দমিয়ে রাখতেই এমন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা।
উল্লেখ, গেলো ২৯ জানুয়ারী-২৫ সিএনজিতে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে বাসমালিক শ্রমিকরা ২৩ টি সিএনজি বাস ডিপুতে আগুন দিয়ে পড়িয়ে দেয় এবং ২৭ এপ্রিল ভোলার চরফ্যাশনে যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাস শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেন। পরে ভোলা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে সমোঝাতায় ফিরেন বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকরা। সেখানে বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর জন্য বলা হলেও সেই ঘটনার আবার পুনরাবৃত্তি ঘটলো।