জুরাছড়িতে মাছের পোনা অবমুক্ত,পার্বত্যাঞ্চলে মৎস্য খাতে উন্নয়নের আশা

রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার বালুখালি মুখপাড়া গ্রামে মৎস্য উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সহযোগিতায় জুরাছড়ি সদরের বালুখালি মুখপাড়া গ্রামে মৎস্য উন্নয়ন সমিতির পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
মাছের পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের অবদান আরও জোরদার করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, এই পাহাড়ি অঞ্চলের প্রাকৃতিক জলাভূমি, পুকুর ও হ্রদগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে মাছ উৎপাদনে এক বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। মৎস্য খাতের বিকাশের মধ্য দিয়ে পুষ্টি, কর্মসংস্থান ও আয়ের উৎস বৃদ্ধি পাবে। এ ধরনের উদ্যোগ পাহাড়ের গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে এবং বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের পথও সুগম করবে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, এ ধরনের প্রকল্প ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারণ করা হবে যাতে পাহাড়ের স্থানীয় জনগণ সরাসরি উপকৃত হতে পারেন।
মাছের পোনা অবমুক্তকরণ কার্যক্রমকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে দেখা যায় ব্যাপক আগ্রহ ও উৎসাহ।
স্থানীয় বাসিন্দারাও আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই উদ্যোগ তাদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে। বিশেষ করে যেসব পরিবার মাছ চাষে আগ্রহী, তারা সরকারি সহায়তায় নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। তাদের মতে, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এই প্রকল্পের ফলে এলাকার মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং বাজারে সরবরাহের পাশাপাশি স্থানীয়দের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
এসময় জেলা পরিষদের সদস্য দেব প্রসাদ দেওয়ান, বরুন বিকাশ দেওয়ান, প্রতুল চন্দ্র দেওয়ান এবং দয়াল দাস উপস্থিত ছিলেন।
তারা সকলে এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতেও পার্বত্য এলাকায় কৃষি ও মৎস্য খাতে টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
রাঙামাটি জেলায় স্থানীয় পুকুরে মৎস্য সম্প্রসারনের এই প্রকল্পটি পার্বত্য অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।