পিরোজপুরে দুই বিদ্যালয়ে এসএসসিতে শতভাগ ফেল।

চলতি বছরের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার বরিশাল বোর্ডে পাসের হারে শীর্ষ জেলা পিরোজপুর। তবে জেলার দুটি বিদ্যালয়ের একটিও শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। এসব বিদ্যালয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১০ জন শিক্ষার্থীর সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।
জানা গেছে, সদর উপজেলার জুজ খোলা সম্মিলনী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষার্থী ছিল ১২ জন তার মধ্যে ৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং ভান্ডারিয়া উপজেলার মধ্য চড়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষকের বিপরীতে ৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয় । কিন্তু তাদের কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। ফলে পাসের হার দাঁড়িয়েছে শতভাগ শূন্যতে। তবে স্কুল দুটি এমপিও ভুক্ত।
এ বছর জেলায় মোট পাশের হার ৬৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ, যা বরিশাল বোর্ডের যা বরিশাল বোর্ডে পাশের হারে সবচেযে বেশি। তবে প্রতিষ্ঠান দুটি এমপিও ভুক্ত হবার পরেও এবং ১০ জন শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও তাদের অবহেলায় থমকে গেছে পড়ালেখার মান। অভিযোগ রয়েছে, জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানের প্রতি শিক্ষা কর্মকর্তাদের কোনো তদারকি নেই।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার ইদ্রিস আলী আযিযী বলেন, সরকার প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে বেতন-ভাতা থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচ বহন করে। এর বিনিময়ে আমরা চাই ভাল রেজাল্ট। যেহেুতু তাদের রেজাল্ট ভাল হয় নি তাই বোর্ড তাদের বিরুদ্ধে যে নির্দেশনা প্রদান করবে, আমরা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিবো।
এ বিষয়ে মধ্য চড়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বছরে আমাদের স্কুল থেকে ৭ জনে রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন নিয়মিত এবং ১ জন অনিয়মিত ভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। আমাদের স্কুলে মাত্র ৪ জন শিক্ষক। ইংরেজি, আইসিটি এবং ধর্মীয় বিষয়ে কোন শিক্ষক নেই। অন্যদিকে গ্রাম পর্যায়ের স্কুল হওয়ায় সকলে নিয়মিত ক্লাস করে না। এরা বাসায় ও ঠিকমত পড়াশুনা করে না। যার ফলে ফেল করেছে।
জুজ খোলা সম্মিলনী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে এবারে ১২ জনের রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করেছিলাম। তার মধ্যে ৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং সবাই ফেল করেছে। আমাদের সকল ছাত্রী বিবাহিত হওয়ায় ঠিকমত ক্লাসে আসেনি। তাই লেখাপড়া করতে পারেনি। তাই সম্ভবত ফেল করেছে।