মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় উৎপাদন বেড়েছিল ৫২ শতাংশ: মৎস্য উপদেষ্টা
মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের মাছ ধরা বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ফলে গেল বছর ইলিশের উৎপাদন ৫২ শতাংশ বেড়েছিল, তবে পরবর্তীতে প্রাকৃতিক কিছু কারনে এর সংকট দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
দুপুরে সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের কেন্দ্রীয় কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরির আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন শেষে গনমাধ্যমকে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
ল্যাবরেটরি পরিদর্শন শেষে সন্তোষ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের যে সুযোগ-সুবিধা আছে তা যদি কাজে লাগানো গেলে দেশের খামারীরা তাদের গো-প্রজননের ক্ষেত্রে বড় সেবা পাবে। এর মাধ্যমে উন্নত ও সংকর প্রজাতীর মাধ্যমে গো-মাংশ ও দুগ্ধ উৎপাদন বাড়বে।
এসময় ইলিশ নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের মাছ ধরা বন্ধের সিদ্ধান্ত সবার সম্মিলিত মতামত ও বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতে নেয়া হয়েছে। তবে মৌসুম পরিবর্তনের কারনে তারিখের পরিবর্তন হয়ে থাকে। এসময় জেলেদের জন্য সরকারিভাবে ২৫ কেজি করে চাল সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এর ফল হিসাবে গেল বছর ইলিশের উৎপাদন ৫২ শতাংশ বেড়েছিল। তবে জলবায়ু পরিবর্তনসহ প্রাকৃতিক কিছু কারনে পরবর্তীতে কিছু সংকট সৃষ্টি হয়েছিল।
উপদেষ্টা আরও বলেন, জাটকা নিধন রোধে ৫৮ দিনের যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় সেসময় প্রশাসনের উদ্যোগ ও চেষ্টার পরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারনে জেলেরা অবৈধ জাল ব্যবহার ও জাটকা ধরে থাকে। এটি রোধ করা গেলে ইলিশের সংকট কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে এসময় কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


