গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে আনন্দের ঢেউ, ঘরে ফেরার আশা ফিলিস্তিনিদের!
ইসরায়েল ও গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির খবর প্রকাশের পর গাজায় উচ্ছ্বাসের ঢেউ বইছে। কেউ আনন্দে কাঁদছেন, কেউ বাঁশি বাজাচ্ছেন, কেউ নাচানাচি করছেন, আবার কেউ চিৎকার করে বলছেন, “আল্লাহু আকবর।”
৫ সন্তানের মা ঘাদা বলেন, “আমি আনন্দের অশ্রু ফেলছি। মনে হচ্ছে নতুন করে আমাদের জীবন শুরু হলো। আশা করছি, এই ভয়াবহ যুদ্ধ শেষ হচ্ছে।”
গাজার বিভিন্ন শহরে আনন্দ মিছিল ও উদযাপন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে কিশোর-কিশোরীরা বাঁশি-খঞ্জনি ও ড্রাম বাজিয়ে, নেচে-গেয়ে উল্লাস শুরু করেছেন।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী আগামী ছয় সপ্তাহে হামাস তাদের হাতে থাকা সমস্ত জিম্মিকে মুক্তি দেবে। এর পরিবর্তে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে, বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেবে এবং ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার করবে।
গাজার বাসিন্দারা আশা করছেন, এই চুক্তি রক্তপাত কমাবে এবং জীবন রক্ষা করবে। তবে অনেকেই এখনও যুদ্ধের ক্ষতি ও ধ্বংসস্তূপের পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত। আহমেদ দাহমান জানান, তিনি নিজের বাবার লাশকে ধ্বংসস্তূপের তলায় রেখে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, “এবার যুদ্ধবিরতি হলেও আমাদের হারানো জীবন ফিরবে না, তবে অনেকের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।”
ঘাদের মতো আরও অনেক ফিলিস্তিনি এখন স্বস্তি ও আশা পাচ্ছেন, কিন্তু যুদ্ধের ক্ষত এখনও গভীর।


