চাহিদার দুর্বলতায় আয়রন অরের দামে হঠাৎ চাপ!
বিশ্ববাজারে আকরিক লোহার দাম কমেছে। চীনে চাহিদা হ্রাস ও মজুত বৃদ্ধির প্রভাবের কারণে মূল্য হ্রাস হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির আশায় সামগ্রিকভাবে সপ্তাহ ও মাসজুড়ে দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল।
চীনের দালিয়ান কমোডিটি এক্সচেঞ্জে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া জানুয়ারির আকরিক লোহার চুক্তির দাম গত শুক্রবার (০১ নভেম্বর) ০.৯৩ শতাংশ কমে মেট্রিক টনপ্রতি ৭৯৭ ইউয়ান বা ১১১ দশমিক ৮৯ ডলারে নেমে আসে। তবু পুরো সপ্তাহে দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
অন্যদিকে, সিঙ্গাপুর এক্সচেঞ্জে ডিসেম্বরের মানদণ্ড আকরিক লোহার দাম ০.৬১ শতাংশ কমে টনপ্রতি ১০৫ দশমিক ৮ ডলারে দাঁড়ায়, যা সপ্তাহজুড়ে ২ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে। উভয় সূচকই মাসের হিসেবে প্রায় ২ শতাংশ বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্প-শি বৈঠকের পর বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আশাবাদই দামকে সহায়তা করেছে।
তবে সামষ্টিক প্রভাব কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা আবার বাজারের মৌলিক অবস্থার দিকে নজর দিচ্ছেন। বাজার বিশ্লেষক সংস্থা মাইস্টিলের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সপ্তাহে চীনের গড় দৈনিক গরম ধাতু উৎপাদন আগের সপ্তাহের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ২৩ দশমিক ৬ লাখ টনে নেমেছে। একই সময়ে বন্দরভিত্তিক মজুত বেড়েছে ০ দশমিক ৮ শতাংশ।
এ ছাড়া, টানা সপ্তম মাসের মতো অক্টোবরেও চীনের কারখানা কার্যক্রমে সংকোচন দেখা গেছে, যা বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
তবে ইস্পাত উৎপাদনে ব্যবহৃত অন্যান্য উপকরণ যেমন কোকিং কয়লা ও কোকের দাম যথাক্রমে ১ দশমিক ০৪ শতাংশ ও ০ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়েছে।
শাংহাই ফিউচার্স এক্সচেঞ্জে বেশিরভাগ ইস্পাত পণ্যের দাম কমেছে। রিবার ০ দশমিক ১৯ শতাংশ, হট-রোল্ড কয়েল ০ দশমিক ২১ শতাংশ ও স্টেইনলেস স্টিল ০ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমেছে। তবে ওয়্যার রডের দাম বেড়েছে ০ দশমিক ১২ শতাংশ।


