শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে পুকুরে মাছ ধরার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যু
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় পুকুরে মাছ ধরার সময় বৈদ্যুতিক মোটরের সংস্পর্শে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের বকাউলপাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন নূরে আলম মোল্লা (৪০) উপজেলার দেওয়ানপাড়া গ্রামের হানিফা মোল্লার ছেলে। তিনি পেশায় ট্রাক্টরচালক ছিলেন এবং অপরজন মো. আলমগীর (৫২), তিনি একই গ্রামের বাসিন্দা ও কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নূরে আলম ও আলমগীর সোমবার দিনগত মধ্যরাতে পাশের এলাকা বকাউলপাড়ার বিলের একটি পুকুরে মাছ ধরার পরিকল্পনা করেন। এজন্য তারা বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে পুকুরের পানি সেচ দিচ্ছিলেন।
পরবর্তীতে মঙ্গলবার ভোরে তারা মাছ ধরার মুহূর্তে অসাবধানতাবশত বৈদ্যুতিক মোটরের সংস্পর্শে আসেন এবং দুজনেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
নিহত নূরে আলম মোল্লার ছেলে নিরব বলেন, তিনি ভোরে ফজর নামাজ পড়ে বিলে গিয়ে বাবা ও আলমগীর কাকাকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত তিনি দৌড়ে গিয়ে কারেন্টের মেইন সুইচ বন্ধ করেন এবং লোকজনকে ডাক দেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মো. আলমগীরের স্ত্রী সালমা বেগম জানান, তার স্বামী রাতে মাছ ধরতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। খোঁজাখুঁজি করতে গিয়েই তিনি এ খবর পান।
এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) শামসুল আরেফীন বলেন, "মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। তবে এ ঘটনায় নিহতদের পরিবার থেকে এখনো কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ না এলেও এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"


