চাকসুর মাধ্যমে সুস্থধারার ছাত্ররাজনীতি ফিরে আসুক : তামজিদ রাহাত জয়!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন। ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের প্যানেল ছাড়াও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও।
হল সংসদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়টির নানান হলে বইছে উৎসবমুখর নির্বাচনী আমেজ। বিশ্ববিদ্যালয়টির শহীদ আবদুর রব হলও এর ব্যতিক্রম নয়। এর হল সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই প্রার্থীরা তাদের প্রচারণার কাজ শুরু করেছে। প্রত্যেকেরই একই লক্ষ্য, কে কার থেকে ব্যতিক্রমী প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেন।
এবারের শহীদ আবদুর রব হল ছাত্র সংসদের পরিচিত মুখ বিশ্ববিদ্যালয়টির বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তামজিদ রাহাত জয়।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে নিজের নির্বাচনী ইশতেহার ও প্রত্যাশা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জয় বলেন, "দীর্ঘ সময় পর চাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। আমার হলে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে পাশে থাকার প্রত্যয় নিয়েই আমি নির্বাচনে এসেছি।"
তিনি আরও জানান, "বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানগত কারণ ও পারিপার্শ্বিক বাস্তবতায় চবি শিক্ষার্থীরা নানান জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন। খাদ্য, আবাসন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা এখনও বঞ্চিত। প্রশাসন কিছুটা উদ্যোগ নিলেও সমস্যার গভীরতর সমাধান হয়নি। এ অবস্থায় চাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি করবে বলে আমরা আশাবাদী।"
জয় বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন দলীয় রাজনীতির যে ভয়াবহ রূপ শিক্ষার্থীদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তার পুনরাবৃত্তি কেউই দেখতে চায় না। চাকসুর মাধ্যমে সুস্থধারার ছাত্ররাজনীতি ফিরে আসুক এবং শিক্ষার্থীবান্ধব নেতৃত্ব গড়ে উঠুক, সেটিই আমার কামনা। "
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী জোট প্যানেল থেকে শহীদ আবদুর রব হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তামজিদ রাহাত জয়। তিনি শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাদের সমস্যার সমাধানে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। একই সাথে আসন্ন চাকসু নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার অনুরোধও তিনি প্রশাসনের নিকট জানিয়েছে।


