অসময়ের বৃষ্টিতে ফসলহানির শঙ্কায় জয়পুরহাটের কৃষকেরা!
অসময়ের বৃষ্টিতে জয়পুরহাটের পাঁচটি উপজেলার পাকা ধান ও আগাম জাতের রোপা বীজ আলু নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় আছেন কৃষকেরা। কোথাও রোপা বীজ আলুর জমিতে পানি জমে বীজ আলু পঁচার সম্ভাবনা আবার কোথাও পাকা ধান পানিতে ডুবে নুয়ে পরেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি নিষ্কাশন না হলে পানিতে ডোবা ধান ও বীজ আলুর ক্ষতি হবে বলে আশঙ্ক করছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা জানান, গত বছর আলুর ভালো দাম না পাওযায় এবছর লাভের আশায় আগাম আলু চাষ শুরু করেন তারা। তবে কয়েক দিনের বৃষ্টির কারনে আলুর জমিতে পানি জমে আছে। ফলে বৃষ্টির পানিতে একদিকে রোপণকৃত বীজ পঁচে গেলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা অপরদিকে অনাবাদি জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের পর বীজ রোপণ কবে করা যাবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এতে আরও একমাস আলু রোপণে দেরি হবে বলে জানান কৃষকেরা।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধারকী গ্রামের কৃষক গোলাপ হোসেন বলেন, "গতবছর আলু চাষ করে অনেক লোকসান হয়েছে। এবার আগাম আলু লাগালে ভালো দাম পাওয়া যাবে। সেই আশায় দেড় বিঘা জমিতে আলু বীজ রোপণ করে এক সপ্তাহ হয়নি। এর মধ্যে কয়েকদিন থেকে থেমে থেমে লাগাতার বৃষ্টি। এখন বৃষ্টির পানি জমিতে জমে থাকায় গাছ ঠিক মতো উঠতে পারে নাও পারে। কী করবো ভেবে পাচ্ছি না। "
জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার কুসুমশহর গ্রামের আরেক কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, "আগাম আলু চাষে কিছুটা ঝুঁকি থাকে। এলাকার কয়েকজন আলু লাগাইতাছে দেখে আমিও দুই বিঘা জমিতে কয়েক দিন আগে লাগালাম। কয়েক দিনের থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় আলুর জমিতে পানি জমে গেছে। এতে করে রোপণকৃত বীজ পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। "
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এ কে এম সাদিকুল ইসলাম বলেন, "জেলায় বিভিন্ন উপজেলার প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শাকসবজি ২৭ হেক্টর জমিতে, আমন ধান ৩৩৭ হেক্টর জমিতে ও আগাম জাতের আলু ৮৫ হেক্টর জমিতে কয়েকদিনের অসময়ের বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এখনো ক্ষতির হিসাব নিরূপণ করা যায়নি। ঝড় বৃষ্টি হলেও ভারী বর্ষণ হয়নি। সবেমাত্র আলু রোপণ শুরু হয়েছে। এছাড়া শীতকালীন সবজি ও আমন ধানের খুব বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।


