পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মার চরে সন্ত্রাসীদের আস্তানা উচ্ছেদ ও ইউএনও'র অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন!
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়ন সংলগ্ন কুষ্টিয়া ও লালপুর অংশের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণের আস্তানা উচ্ছেদ ও নদী পাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের সাঁড়া ঘাট ক্যানেলপাড়া ৫ নাম্বার ঘাট এলাকায় এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাঁড়া ৫ নং ঘাটের ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রাজু, ফরহাদ হোসেন, স্থানীয় বাসিন্দা বিনোদ মন্ডল, গুলিবিদ্ধ যুবকের স্বজন রিজিয়া খাতুন, ফাহিমা খাতুন, রিনা বেগম সহ অনেকে।
সমাবেশে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নসহ লালপুর ও কুষ্টিয়া সীমান্তবর্তী পদ্মা নদীর চর অঞ্চল গুলোতে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। অভিযোগ, ঈশ্বরদী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান এসব জেনেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তার পরোক্ষ যোগসাজশে আ.লীগের সন্ত্রাসী ইঞ্জিনিয়ার কাঁকন বাহিনী প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছেন। গুলিবর্ষণ করে পদ্মা নদীর পাড়ের সাধারণ মানুষদোর আতঙ্কিত করছেন। বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে আহত হচ্ছে নদীপাড়ের লোকজন। অথচ উপজেলা প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছেন। তাই ইউএনও মোঃ মনিরুজ্জামানের অপসারণের দাবী করেন। একই সাথে সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি করেন গ্রামবাসী।
উল্লেখ্য গত ৬ অক্টোবর উপজেলার পদ্মা নদীর বালু মহালে টোল আদায় কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা আতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। এতে স্থানীয় দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।


