আজ- সোমবার | ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৫:১৬
২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় আরও ১ জন গ্রেপ্তার; আদালতে দায় স্বীকার তাজুলের

কক্সবাজারের চকরিয়ায় কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ১৫। র‌্যাব ১৫ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া যুবক ঘটনায় জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার করেছে। একই সঙ্গে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ৮ জনের মধ্যে তাজুল ইসলাম নামের একজন কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

র‌্যাব ১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোরে চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল এলঅকা থেকে কিশোরীকে ধর্ষণে জড়িত মো. ফারুক (২৭) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ফারুক বদরখালী ইউনিয়নের টুটিয়াখালি গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।

মো. কামরুজ্জামান জানান, গত ৫ জানুয়ারি রাতে চকরিয়া ও মহেশখালীর সংযোগস্থল বদরখালী ব্রীজ সংলগ্ন প্যারাবনে এক কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় গণধর্ষণকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও মশাল মিছিল করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে দেশীব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলাও দায়ের করেন। ঘটনাটি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরপরই গণধর্ষণকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে র‌্যাব-১৫। অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয় ফারুককে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। ফারুকে চকরিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপরদিকে চকরিয়ায় কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন বদরখালীর বাজারপাড়ার জিয়বুল করিমের ছেলে তাজুল ইসলাম (১৮)। বুধবার সন্ধ্যায় চকরিযার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবিরের সামনে ওই জবানবন্দী দেন ভিকটিমের বাবার দায়ের করা ধর্ষন মামলার প্রধান আসামী তাজুল।

জবানবন্দীতে তাজুল স্বীকার করেছেন তিনি সহ ৬ জন মিলে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষন করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার দিনগত রাতে তাজুলকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে চকরিয়া থানায় ধর্ষন মামলা করে ভিকটিমের পরিবার।

এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকরিয়া থানার এস আই মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, মঙ্গলবার দিনগত ভিকটিমের দেয়া তথ্য অনুসারে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করে। এর আগে পুলিশ হাতে  সন্দেহভাজন হিসেবে আটক ৮ জনের মধ্যে ৪ জন ঘটনায় জড়িত বলে শনাক্ত করেছে ভুক্তভোগী কিশোরী। দায়েরকৃত মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার আদালতে পাঠায় পুলিশ।  এর মধ্যে তাজুল আদালতে তিনি সহ ৬ জন মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষন করেছে স্বীকার করেছেন।

সর্বশেষ খবর

ভিডিও সংবাদ

এইরকম আরো খবর