আজ- সোমবার | ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:৪১
২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনে ইউএনওর বাঁধা

 

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ইউএনও’র নানা অনিয়ম নিয়ে চলমান বালু মহল ইজারাদারের সংবাদ সম্মেলন পণ্ড হয়ে গেছে ওই ইউএনও’র বাধায়। এসময় ওই ইজারাদারকে তুলে আনতে গিয়ে অসংলগ্ন কথাবার্তায় সংবাদকর্মীদের তোপের মুখে পড়ে ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসেন ইউএনও। আজ সোমবার দুপুরে নালিতাবাড়ী শহরের উত্তর গড়কান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জিলানী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুল কাদির জিলানী নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে দুপুরে তার বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এতে জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন চলাকালে ইউএনও মাসুদ রানা ও সহকারী কমিশনার ভূমি স্ব-শরীরে পুলিশ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন। তারা সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করে সাংবাদিকদের সামনে থেকে ইজারাদার জিলানী ও হারুন-অর-রশিদকে সংবাদ সম্মেলন করার অপরাধে আটক করতে উদ্যত হন। এসময় সাংবাদিকরা আটকের কারণ জানতে চাইলে ইউএনও বিষয়টি পরে জানানোর কথা বলেন। একপর্যায়ে ইজারাদারদের স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে ইউএনও অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা শুরু করলে গণমাধ্যমকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ইজারাদার লিখিত বক্তব্যে জানান, নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা নিজে লাভবান হওয়ার জন্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে ইজারার স্থানে মোবাইল কোর্ট করে বালু উত্তোলনে বাধা সৃষ্টি করেন। এছাড়া নিলামে জব্দকৃত বালু জেলা প্রশাসন থেকে নিলাম কমিটি গঠনের আগেই এবং উপজেলা প্রকৌশলীর বালুর মূল্য সংক্রান্ত লিখিত মতামত উপেক্ষা করে কম রেটে গোপনে তড়িঘড়ি করে ৬ কোটি টাকার বালু মাত্র ৯৪ লাখ টাকা নিলামে বিক্রি করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ইউএনও’র নির্দেশে ইজারাকৃত জায়গার বাইরে নিলাম গ্রহীতাগণ অবৈধভাবে মিনি ড্রেজার বসিয়ে নদীর তীর ভেঙে প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যের বালু উত্তোলন করে বিক্রি করেন। এভাবে ইউএনও’র পরোক্ষ মদদে ৪৪ দিন চলে নিলামগ্রহীতাদের অবৈধ বালু উত্তোলন। এ বিষয়ে তারা বিভিন্ন সময় প্রতিকার চেয়েও প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বালু ব্যবসায়ী জিলানী ইউএনও কর্তৃক মিথ্যা মামলা ও মোবাইল কোর্টে হয়রানীসহ নানা আশংকা প্রকাশ করে অভিযোগ আনেন। আশংকা প্রকাশের পরপরই ইউএনও ও এসিল্যান্ড পুলিশ নিয়ে হাজির হন এবং সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করে তাদের আটক করার চেষ্টা করেন।

তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা তার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

সর্বশেষ খবর

ভিডিও সংবাদ

এইরকম আরো খবর