আজ- মঙ্গলবার | ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৭:৪৪
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লেবাননে চুক্তিতে কি কাটবে গাজার অচলাবস্থা

লেবাননে একটি যুদ্ধবিরতির পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছেন, এ চুক্তি তাদের গাজায়ও একই ধরনের অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাবে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, এখনও তাঁর এ ধরনের মন্তব্যের সময় আসেনি। কারণ, ইসরায়েল ও হামাস গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি থেকে এখনও অনেক দূরে। গত কয়েক মাসে হিজবুল্লাহকে কেন্দ্র করে লেবাননে ব্যাপক হামলা হয়েছে। সংগঠনটি তাদের অনেক শীর্ষ নেতাকে হারিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লেবাননে একটি চুক্তি করলে তা তাঁর ক্ষমতাকে তেমন প্রভাবিত করবে না।

মঙ্গলবার দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় একটি বড় ধরনের অগ্রগতি পাওয়া যথেষ্ট কঠিন হতে পারে। এখনও হামাসের কাছে কমবেশি ১০০ জিম্মি রয়েছেন। এটা একটা বড় ধরনের ট্রাম্প কার্ড, যা ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠনটিকে আলোচনার টেবিলে শক্ত অবস্থান নেওয়ার সুযোগ করে দেবে। আরেকটি কারণ হলো, নেতানিয়াহু হামাসকে ছাড় দিতে চাইবেন না। এমনটা করলে ইসরায়েলে তাঁর ক্ষমতাসীন জোট ভেঙে যেতে পারে। ফলে তাঁকে আগাম নির্বাচন দিতে হতে পারে। গত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলের বিপুল সংখ্যক মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে আসছেন। নতুন নির্বাচন হলে তিনি হেরে যেতে পারেন– এমনটাই মনে করা হয়।

নেতানিয়াহুর উগ্র ডানপন্থি ক্ষমতাসীন জোটের অনেক মিত্র গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে সেখানে ইহুদি বসতি স্থাপনের স্বপ্ন দেখছেন। তারা হুমকি দিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল না করে যুদ্ধ শেষ করলে তারা জোট ভেঙে দেবেন। যখন বিষয়টি লেবানন সম্পর্কিত, তখন নেতানিয়াহু আর ততটা অভ্যন্তরীণ চাপের মুখে নেই। হিজবুল্লাহকে নির্মূল করতেও চাপ নেই তাঁর সরকারের ওপর, যদিও অনেক ইসরায়েলের বাসিন্দা সংগঠনটিকে বড় ধরনের হুমকি বলে মনে করেন।

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়া সাবেক মার্কিন দূত ও বিশ্লেষক অ্যারন ডেভিড মিলার বলেন, ‘লেবাননে চুক্তি হয়েছে। কারণ, নেতানিয়াহু এটা চেয়েছেন; আর হিজবুল্লাহর এটা প্রয়োজন। এটা নেতানিয়াহুর জোটের জন্য কোনো আহামরি অর্জন নয়।’

যুদ্ধবিরতিতে হামাসের সম্মতি

বুধবার হামাস জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত। এক বিবৃতিতে সশস্ত্র সংগঠনটির প্রতিনিধিরা এএফপিকে বলেন, ‘আমার গাজায় একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে যে কোনো প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের লোকজনের ওপর চালানো আগ্রাসনের অবসান চাই আমরা।’ হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত থাকার কথা এরই মধ্যে কাতার, মিসর ও তুরস্ককে জানিয়েছেন। তারা চুক্তির মাধ্যমে বন্দি বিনিময় করতে আগ্রহী।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা আড়াইশ জনকে জিম্মি করে হামাস। পাল্টা হামলায় গাজায় নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞ চালায় ইসরায়েল। এ পর্যন্ত সেখানে ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখেরও বেশি।

সর্বশেষ খবর

ভিডিও সংবাদ

Play Video

এইরকম আরো খবর