বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভ্রমণ করতে এসে দূরপাল্লার ট্রেনে সর্বস্ব খুইয়ে মাথায় হাত দুই বাংলাদেশি পর্যটকের। এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন ওই দুই বাংলাদেশি।
জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে কলকাতায় আসেন বাংলাদেশের বাসিন্দা ইয়ানা ও তার আত্মীয় সম্পর্কে ছোট ভাই। কলকাতায় এসে নিউমার্কেট উঠেন তারা। পরিকল্পনা করেন পশ্চিমবঙ্গের শৈল শহর দার্জিলিং ও সিকিমে ঘুরতে যাওয়ার।
সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন থেকে কাঞ্চনকন্যা ট্রেনে উঠেন ইয়ানা ও তার ছোট ভাই। ট্রেনে তাদের সিট ছিল আরএসি ৬৩।
কাঞ্চনকন্যা ট্রেনে করে শিলিগুড়ির আসছিলেন তারা। ওই ট্রেনেই দুই অচেনা ব্যক্তি তাদের চা খেতে দেন। চা খাওয়ার পরই জ্ঞান হারান তারা। এরপর জ্ঞান ফিরে দেখতে পান তারা শিলিগুড়ি এক হাসপাতালে রয়েছেন।
এরপরেই ভুক্তভোগীরা দেখেন তাদের কাছে থাকা বাংলাদেশি টাকা, ভারতীয় রুপি ও কুয়েতের কারেন্সি ছাড়াও সোনা, ফোনসহ সব কিছু খোয়া গেছে।
ইয়ানা বলেন, আমরা দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি ঘুরতে যাওয়া জন্য শিয়ালদা স্টেশন থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ট্রেন ধরি। আমাদের পাশের সিটের দুই ব্যক্তিও শিয়ালদা স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে। রাত প্রায় তিনটার দিকে ডেকে বলে, আমরা মালদহ স্টেশনে নেমে যাবো। তোমরা আমাদের এই দুটো সিটে ঘুমিয়ে পড়ো চা খেয়ে।
ইয়ানা আরও বলেন, এরপর আমার ভাইকে লাল চা দেয়। আমি চা খাবো না বলায়, আমাকে তারা বলে একটু চা খেয়ে নিলে আপনার গলাটা ছেড়ে দেবে। সামান্য একটু চা আমাকে দেওয়া হয়। এরপর আমি চা খেয়ে আমার সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ ও ফোনটি মাথার পাশে রেখে শুয়ে পড়ি। পরে যখন ঘুম ভাঙে তখন দেখি আমরা দুজনেই হাসপাতালে শুয়ে রয়েছি। হাতে স্যালাইন লাগানো।
এ বিষয়ে শিলিগুড়িতে রেলওয়ে এসআরপি কুনওয়ারভূষণ সিং জানিয়েছেন, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই দুই বিদেশি পর্যটকদের পাশের সিটে কারা ছিল তাদের খোঁজ চলছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।