আজ- মঙ্গলবার | ১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:১৫
১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাঁথিয়ায় নিখোঁজ ৮ জনের মধ্যে আরও ৩ শিশু উদ্ধার

সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর পাবনার সাঁথিয়ায় নিখোঁজ ৮ জনের মধ্যে আরও তিন শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ৪ জন হলো- সাঁথিয়া পৌরসভার পূর্ব ভবানীপুর গ্রামের হবিবুর ওরফে হবি শেখের ছেলে রিয়াদ (৮), হাসান (৫) ও হোসাইন (৫)। এই ৩ শিশুসহ দু’দিনে মোট ৭ জন উদ্ধার হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সমকালে ‘সাঁথিয়ায় ২১ দিনে নারী ও শিশুসহ নিখোঁজ ৮’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা এবং স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, হবি শেখ তার তিন ছেলেকে নিয়ে সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর স্মরনিকা মহল্লায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন এবং একটি ভাঙারির দোকানে তিনি কাজ করেন। এ খবরে অভিযান চালিয়ে গতকাল শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে ওই তিন শিশুকে উদ্ধার করা হয় এবং ওই রাতেই তিন শিশুকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সন্তানদের নিয়ে আত্মগোপনের কারণ জানতে চাওয়া হলে হবি শেখ বলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে কয়েক মাস আগে আমাদের বিচ্ছেদ হয়েছে। আমার স্ত্রী ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করায় সন্তানরা তার নানীর কাছে একা থাকত। যেহেতু তালাক হয়েছে, সন্তানদের ওপড় আমার অধিকার আছে তাই তাদের নিয়ে চলে গিয়েছিলাম আমার কাছে রাখতে।

উদ্ধার হওয়া তিন শিশুর মা আয়শা খাতুন বলেন, আমার স্বামী একজন নেশাগ্রস্ত মানুষ এবং জুয়া খেলে। দরিদ্র মানুষ আমরা। আমাদের কোনো সম্পদ নেই। তার কাছে আমার সন্তানরা নিরাপদ নয়। এছাড়া আমার ছেলেরা একেবারেই ছোট। আমার সন্তানদের আমার কাছেই রাখতে চাই। ছেলেদের ফিরে পেয়ে আমি যেন আমার কলিজার টুকরাদের কাছে পেলাম এবং চিন্তামুক্ত হলাম।

উদ্ধার হওয়া বড় শিশু রিয়াদ জানায়, ‘আমার মা বাড়িতে থাকে না, ঢাকায় ছিল। তাই বাবা আমাদের দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে নিয়ে গিয়ে ভিক্ষা করিয়েছে। আমরা আমার মায়ের কাছে থাকতে চাই।’

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, ‘নিখোঁজদের মধ্যে আরও ৩ শিশুসহ মোট ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে শিশুদের তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর একটি মেয়ে নিখোঁজ আছে তাকেও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

প্রসঙ্গত, গত ১৮ অক্টোবর রিয়াদ, হাসান, হোসাইন, গত ৩ নভেম্বর উপজেলার ঘুঘুদহ গ্রামের হমিম, সোহান, রাফিয়া এবং ৩১ অক্টোবর রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মালিয়ান্দহ গ্রামের সুব্রত কর্মকার নিখোঁজ হয়েছিলেন। এরমধ্যে গত ৭ নভেম্বর হমিম, সোহান, রাফিয়া ও সুব্রত কর্মকারসহ মোট ৭ জন উদ্ধার হলো। কশিনাথপুর ইউনিয়নের চন্ডীপুর গ্রামের মৃত ফজলাল শেখের মেয়ে রিদি খাতুন (১৪) নিখোঁজ রয়েছেন।

সর্বশেষ খবর

ভিডিও সংবাদ