অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থান থেকে এক ডজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে ওই বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার আসামের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য সেন্টিনালের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জিআরপি পুলিশ ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফের সদস্যরা ওই বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার করেছেন।
এর মধ্যে রাজ্যের জিরানিয়া রেল স্টেশন এলাকা থেকে শনিবার মধ্যরাতে তৃতীয় লিঙ্গের তিন বাংলাদেশিসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজ্য পুলিশের সূত্র বলেছে, গ্রেপ্তারকৃত এই ছয় বাংলাদেশির মুম্বাইয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সীমান্ত পেরিয়ে কিছু বাংলাদেশি জিরানিয়া স্টেশন থেকে ট্রেনযোগে মুম্বাইয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ত্রিপুরার জিআরপি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাপস দাস বলেন, কিছু বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে জিরানিয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করার চেষ্টা করছেন বলে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। পরে আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার করেছি।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা কোন দেশের নাগরিক সেটি স্বীকার না করলেও পরে তারা বাংলাদেশি বলে জানান। গ্রেপ্তারকৃতরা বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা। এই ঘটনায় জিআরপি ও বিএসএফ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
এছাড়া পৃথক অভিযানে ত্রিপুরার উদয়পুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে তিন শিশুসহ অন্য ছয় বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফ। রেলওয়ে স্টেশনের মূল অটো স্ট্যান্ডের কাছে সাতজনের একটি সন্দেহভাজন দলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ছয়জন বাংলাদেশি নাগরিক এবং অন্যজন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বাংলাদেশের খুলনা জেলার রহিম শেখ (৭), তামিম শেখ (৬), মো. আবদুল্লাহ (৯), রহমতুল্লা হাওলাদার (৭), সুরাইয়া বেগম (২৩) এবং রুবেল শেখ (২৩)। ওই বাংলাদেশিদের অবৈধভাবে স্থানান্তরে সহায়তার অভিযোগে মো. হাফিজুর রহমান নামের এক ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ।
পুলিশ বলেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা বৈধ নথিপত্র ছাড়াই ভারত ভ্রমণের চেষ্টা করেছিলেন। সীমান্তে অনুপ্রবেশের ঘটনায় মানবপাচারের নেটওয়ার্ক কিংবা বেআইনি কার্যকলাপের পরিকল্পনা ছিল কি না তা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।