ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা মডেল মসজিদের ঈমাম নিয়োগে অনিয়ম ও বৈষম্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের সাবেক ঈমাম ও খতিব মাওঃ রেজাউল করিম এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে মাওলানা রেজাউল করিম দাবী করেন, বিগত আওয়ামী লীগের আমলে বৈষম্যমূলক ভাবে নলছিটি উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামি সংস্কৃতির কেন্দ্রের ঈমাম নিয়োগের ইন্টারভিউ বোর্ডে অনান্যদের মধ্যে উক্ত পদে নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যাক্তির আপন বড় ভায়রা ও তাদের দু’জন ঘনিষ্ট ব্যাক্তি সরাসরি জরিত ছিলেন। তার বিধি মোতাবেক প্রয়োজনিয় সকল যোগ্যতা ও অগ্রাধিকার থাকা সত্তেও উল্লেখিত ব্যাক্তিদের যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিত ও অন্যায় ভাবে তাকে স্বজন প্রীতির মাধ্যমে বাদ দেওয়া হয়েছে। একটানা ৫বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ঈমামদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা আছে। তিনি গত ১০ বছরের অধিক সময় ধরে শুনামের সাথে ঈমামের দায়িত্ব পালন করেও বৈষম্যের স্বীকার হয়ে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তার পূর্বের নিয়োগ পত্র ও তৎকালীন মসজিদ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগন কতৃক প্রদত্ত অভিজ্ঞতা সনদ রয়েছে।
ইন্টরভিউ কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, তৎকালীন পৌর মেয়র আঃ ওয়াহেদ খান, হদুয়া বৈষাখিয়া প্রস্তাবিত কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যাক্তির আপন বড় ভায়রা মাওঃ মোহাম্মদ হোসাইন, নলছিটি ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ বাহাউদ্দীন, ফয়রা নেসারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ আবদুস ছবুর, ওসি নলছিটি থানা, ও ফিল্ড সুপার ভাইজার মোঃ শাহাবুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে স্বজপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত মাওঃ আতিকুর রহমানের আপন ভায়রা ছাড়াও একাধিক আত্মীয় রয়েছেন। যা ইন্টারভিউ বোর্ড নিয়ম বহির্ভুত ও বৈষম্যমূলক। এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তিনি ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক বরাবর একটি দরখাস্ত দিয়েছেন।
উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের সাবেক ঈমাম ও খতিব মাওঃ রেজাউল করিম বলেন, নিয়ম নীতিমালা পালন না করে স্বজপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত দেওয়া অভিযোগ দিয়েছি। যা সঠিক ভাবে তদন্ত করিলে সততা পাওয়া যাবে।
নলছিটি মডেল মসজিদ সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ঈমান মাওঃ আতিকুর রহমান অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, ছারছিনা শরীফে আমার অত্নীয় হওয়ায় দেশের আলেম সমাজ প্রাই আমার আত্নীয়। তবে তিনি শতভাগ বৈধভাবে যোগ্যতার বলে নিয়োগ পেয়েছন বলে দাবী করেন।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের ভার নলছিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নজরুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে বিধি মোতাবেক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি এখনও তদান্তাধীন রয়েছে।
এবিষয়ে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম বলেন, খুব তাড়াতাড়ি তদন্ত শুরু করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।