জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক সুলতান মন্ডল জমির খাজনা পরিশোধ করতে যান বাগজানা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। এ সময় তার কাছ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা খাজনা নেওয়া হয়। তবে তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় মাত্র ৩৯ টাকা খাজনা পরিশোধের রসিদ।
এমন অভিযোগ করে ভুক্তভোগী কৃষক সুলতান মন্ডল বলেন, ‘সরকারের কোষাগারে জমা নিল মাত্র ৩৯ টাকা, অথচ আমার কাছ থেকে ১৬০০ টাকা নিল ভূমি অফিসার। আমার মতো আর কোনো কৃষক যেন এমন হয়রানির শিকার না হয়, সে জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকতার সুনজর কামনা করছি।’
সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী সুলতান মন্ডল বাগজানা ইউনিয়নের খোর্দ্দমহশুল মৌজার ৫৫৮ দাগের ১৬ শতাংশ জমি অন্যত্র দলিল করবেন। এ জন্য খাজনা পরিশোধের জন্য তিনি বাগজানা ভূমি অফিসে যান। সেখানে গেলে ১ হাজার ৬০০ টাকা জমা দেন তিনি। কিছুক্ষণ পর তার হাতে মাত্র ৩৯ টাকার একটি রসিদ ধরিয়ে দেন ভূমি অফিসের লোকজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচবিবি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।