সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক কারামুক্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় সুনামগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
এর আগে দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জের দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক নির্জন কুমার মিত্র তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। অসুস্থ ও বয়স্ক বিবেচনায় আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
গেল ৭ অক্টোবর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে র্যাবের একটি দল সাবেক সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিককে গ্রেপ্তার করে। পরদিন সুনামগঞ্জ সদর থানায় আনা হয় তাকে। গেল নয় অক্টোবর সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা থেকে আদালতে হাজির করলে সংশ্লিষ্ট দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক না থাকায় তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর।
পরে পুলিশ তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। গেল ২০ অক্টোবর শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বৃহস্পতিবার মানিকের পক্ষের আইনজীবীরা অসুস্থ ও বয়স্ক বিবেচনায় তাঁকে জামিন দেওয়ার আবেদন করেন।
আইনজীবী নজরুল ইসলাম ও খায়রুল কবির রুমেন জানান, তারা আদালতকে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ ও বয়স্ক রাজনীতিবিদ পাঁচবারের সাবেক এমপি মানিক চোখে দেখতে পান না। অন্যান্য রোগেও ভুগছেন। পরে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরে গত চার আগস্ট তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী জহুর আহমদের ভাই দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে গত দুই সেপ্টেম্বর সদর মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন। এই মামলায় মহিবুর রহমান মানিকসহ ৯৯ জনকে আসামি করা হয়। এর আগে বয়স্ক ও অসুস্থ বিবেচনায় কেবল এমএ মান্নান কে জামিন দেওয়া হয়।