আজ- মঙ্গলবার | ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:১৯
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
‘কুকুর’ সম্বোধন করে ছাত্রের পোস্ট

‘কুকুর’ সম্বোধন করে ছাত্রের পোস্ট: শিক্ষকের আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে চারজনকে আসামি করে মামলা

টাঙ্গাইলের সখীপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই শিক্ষকের মেয়ে বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে সখীপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

ওই শিক্ষককে ‘কুকুর’ সম্বোধন করে তাঁর ছবি দিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন এক শিক্ষার্থী। পরে বিকেলে বাজারে ওই শিক্ষককে অপমানও করেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে ওই শিক্ষকের ‘ঝুলন্ত’ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। স্বজনদের অভিযোগ, অপমান সইতে না পেরে ওই শিক্ষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন কালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য কামাল হোসেন, ফেসবুকে পোস্টদাতা খাইরুল ইসলাম, স্থানীয় বাসিন্দা হামিদুল ইসলাম ও সজীব হোসেন। খাইরুল ইসলাম (২৬) ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা করে চাকরি খুঁজছেন। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াকালীন ওই শিক্ষকের সরাসরি ছাত্র ছিলেন। খাইরুল বড়চওনা ইউনিয়নে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন কর্মী বলে জানান উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান প্রতিনিধি সেলিম আল মামুন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেছেন, এমন অভিযোগ তুলে গত ২৮ আগস্ট খাইরুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন করা হয়। ওই দিন বিকেলে খাইরুল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় দেলদুয়ার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গৌর চন্দ্রকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। গতকাল তদন্তের জন্য তাঁর ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা ছিল।

সোমবার দুপুরে ওই শিক্ষকের ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন খাইরুল এবং বিকেলে দাড়িপাকা বাজারে লোকজনের সামনে তাঁকে অপমান করেন। ফেসবুক পোস্টে খাইরুল লেখেন, ‘এই কুকুরকে চিনে রাখেন। শিক্ষকতার নামে প্রাইমারি শিক্ষার্থীদের সাথে পড়ানোর নামে বিকৃত যৌনাচার করত। এর শাস্তি অবধারিত। এর আগে পেছনে যারা সাহায্য করতেছে। তাঁদের লিস্ট করা হচ্ছে।’

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন আজ বুধবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

আসামিদের গ্রেপ্তার করার দাবি
এদিকে শিক্ষকের আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ বিকেল সাড়ে চারটায় সখীপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। এই কর্মসূচির তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাহী সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন।

সর্বশেষ খবর

ভিডিও সংবাদ

Play Video

এইরকম আরো খবর