হাত-পা বাঁধা রক্তাক্ত দুই শ্রমিকের মরদেহ পড়ে ছিল ঘরের মেঝেতে। চারতলা ফ্ল্যাটের ওপর তলার একটি কক্ষে পড়ে থাকা দুই শ্রমিকের বীভৎস নিথর দেহ দেখে চিৎকার করে ওঠেন বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার মাধবপুর উত্তরপাড়া এলাকার রেজাউল করিমের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর আবু সুফিয়ান ও রাসেল আহমেদ নামে দুই শ্রমিকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে জুয়া খেলা বা নারী নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ভোলা সদর উপজেলার চর ভেদরিয়া গ্রামের জাফর আলীর ছেলে সুফিয়ান ও সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ডেলটা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে রাসেলকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।পুলিশ জানায়, কাশিমপুরের মাধবপুর উত্তরাপাড়া এলাকায় রেজাউল করিম নামের এক ব্যক্তির চারতলা ভবনে ভাড়া থাকতেন সুফিয়ান ও রাসেল। বাসার কাছেই তারা দু’জন একটি প্যাকেজিং কারখানায় চাকরি করতেন। মঙ্গলবার সকালে সুফিয়ান ও রাসেল কর্মস্থলে না যাওয়ায় কয়েকবার কারখানা থেকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়।
রাত ১০টার দিকে কারখানা থেকে বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক শাহজাহান বকুলকে ফোন করে দুজনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। পরে শাহজাহান চারতলায় গিয়ে দেখেন, বাসার দরজা খোলা। তিনি ভেতরে গিয়ে দুজনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ সুফিয়ান ও রাসেলের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
কাশিমপুর থানার এসআই আবু হানিফ বলেন, ওই কক্ষে বেশ কিছু সিগারেটের প্যাকেট ও নেশা জাতীয় দ্রব্য পাওয়া গেছে। উদ্ধার করা আলামত থেকে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নেশা অথবা জুয়া খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুর্বৃত্তরা দু’জনের হাত-পা বেঁধে গলাকেটে হত্যার পর পালিয়ে গেছে। নারী নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কাশিমপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। জোড়া খুনের ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশ কাজ করছে।