কার্তিক প্রায় শেষ হতে চললো। দিনে বেশ গরম থাকলেও, রাত ও ভোরের দিকে বেশ ঠান্ডা লাগে। এ সময়ে অনেকেই ঘুমানোর সময় গায়ে চাদর টানেন। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়টা স্বাস্থ্যের জন্য অনুকূল নয়। তাই অনেকেই ভাইরাস জ্বরে, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ ধরনের ভাইরাল জ্বর ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সেরে যায়। কিন্তু তারপরও দুর্বলতা কাটে না অনেকের। অনেক ক্ষেত্রে এই সমস্যা ১ মাসের বেশি সময় ধরে ভোগায়। এতে কাজ করতে গেলেই ক্লান্ত লাগে। জ্বরের পরের দুর্বলতা কাটাতে কী করতে হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় চিকিৎসক ডা. আশিস মিত্র।
ডা. মিত্র বলেন, ‘ভাইরাল ফিভার হলে শরীরের একাধিক অঙ্গের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় লিভার। যার ফলে জ্বরের সময় ক্ষুধা চলে যায়। খাবার হজম হয় না। এ কারণে দুর্বল লাগতে পারে। এছাড়া জ্বরের সময় ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীর প্রচুর পরিমাণে শক্তি খরচা করে। এই সময় শরীর ক্যাটাবোলিজম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। সেই কারণেও দুর্বলতা গ্রাস করে।’
সমাধান
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে নিজে থেকেই দুর্বলতা কেটে যায়। তবে দুর্বলতা আরও দ্রুত কাটাতে হাই প্রোটিন ডায়েট মেনে চলতে হবে। সেক্ষেত্রে জ্বরের পর থেকেই ডিম, মাছ, মাংস বেশি পরিমাণে খেতে হবে। যারা আমিষ খাবার খান না, তারা ভরসা রাখতে পারেন সয়াবিন, দুধ, ছানা, দই ও ডালের মতো খাবার এবং পানীয়ের উপর। এতে শরীরে এনার্জির ঘাটতি মিটে যাবে, এবং দুর্বলতা দ্রুত কেটে যাবে।
শাক-সবজি খেতে হবে
শাক, সবজিতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত শাক-সবজি খেলে পুষ্টির ঘাটতি মিটে যায়। শাক-সবজিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমায়। শাক-সবজির পাশাপাশি রোজ একটি করে ফল খেতে হবে। এতে বাড়বে ইমিউনিটি। কেটে যাবে দুর্বলতা।
মাল্টিভিটামিন খেতে হবে
জ্বরের পর খুব দুর্বল লাগলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে প্রতিদিন একটি করে মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে জ্বর থেকে সেরা ওঠার পর মোটামুটি ১ মাস পর্যন্ত এই ওষুধ খেতে হবে।