জামালপুর শহরের পাঁচ রাস্তা মোড়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাসের স্টাফকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদ প্রায় দেড় ঘন্টা শহরের ব্যস্ততম সড়ক পাঁচ রাস্তা মোড় অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে ৩ জনকে আটক করার পর অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়- আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মেলান্দহের মালঞ্চ এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরে আসছিলো একটি বাস। শহরের পাঁচ রাস্তা মোড়ে আসার পর ৪-৫ জন যুবক জোড় করে বাসে উঠতে গেলে তাদের বাধা দেয়া হয়। এ সময় বাসটির হেলপার কামালকে মারধর করেন যুবকগুলো। এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরে এই ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা।
বাসের হেলপার কামাল হোসেন জানান- আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কয়েকজন বহিরাগত ছেলে বাসে উঠতে চাইলে আমি তাদের বাধা দেয়। পরে আমি দুপুরে বাস নিয়ে শহরের পাঁচ রাস্তায় গেলে সেই বহিরাগত ছেলেরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আমাকে টেনেহিঁচড়ে বাস থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিরব হোসেন বলেন, আমাদের এই ঘটনার পর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাতে আসলে স্থানীয় কয়েকজন ছেলে আমাদের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু করে। পরে সবার মধ্য থেকে তারা আমাকে কলার ধরে নিয়ে যায়। এরপর নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয়। ছবি ও ভিডিও তুলে রাখে আমাদের। তারা বলে আমাদের এখানে আর লেখাপড়া করতে দিবে না। তাদের এসব কাণ্ডে আমাদের অনিরাপদ মনে হয়।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের আহবায়ক মো: আল মামুন সরকার জানান- স্থানীয় কয়েক জন ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে উঠেতে গেলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের হেলপার বাধা দেয়। এই বধা দেওয়ার ফলে তারা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নেয়া হয়েছে।