ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ২২দিনের ঢিলেঢালা অভিযানের সমাপ্তি ঘটল। মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ষোষিত টানা ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে রোববার দিনগত রাত ১২টার পর শেষ হয়েছে সাগর ও নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা। ঝালকাঠিতে দীর্ঘদিন পর গেলো এক সপ্তাহজুড়ে চলছিলো জেলেদের নানান প্রস্তুতি। জাল, ট্রলার, নৌকাসহ মাছ ধরার সব সরঞ্জাম মেরামত করে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে অনেক স্বপ্ন নিয়ে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে জাল ফেলেছেন তারা। তাদের আশা, কাঙ্ক্ষিত মাছের দেখা মিলবে। কিন্তু সে আশা হতাশায় পরিনত হয়েছে। এর কারন মাছের আনাগোনা কম।
জেলেরা বলছেন নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মৎস্য দপ্তরের ঢিলেঢালা অভিযানের কারনে গেলো ২২ দিনে অব্যাহত ছিলো মৌসুমী জেলেদের ইলিশ ধরার উৎসব। অথচ নিষেধাজ্ঞা চলাকালে রাজাপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গনমাধ্যমে নিজেকে জাহির করার জন্য বেশ জোরেসোরে প্রচার চালিয়েছে। নদীতে দিন-রাত ছোটাছুরি, প্রচুর ছবিতোলাসহ নানা কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন বলে তিনি প্রচার করতেন। এই ২২ দিনে রাজাপুরে মৌসুমী জেলেদের জাল ও ইলিশ জব্দ করা হলেও তবে নেই কোন জেল ও জরিমানা।
বিষখালী নদীর তীরে বসবাস করা স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি ও জেলেরা অভিযোগ করে জানান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম কুমার নদীতে কম থাকতো। অন্য কর্মকর্তারা যারা থাকতো তাদের অনেকেরই বাড়ি এই রাজাপুর উপজেলার হওয়ায় তাদের মৌসুমি জেলেরা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে মাছ ধরা অব্যাহত রাখতো। তাই তারা কাউকে আটক করতো না। ট্রলার নিয়ে দায়সারাভাবে নদীতে অভিযান চালাতে। তাদের সামনেই জেলেরা মাছ ধরতো তবে মৎস্য কর্মকর্তারা দেখেও অন্ধর মতো থাকতো মনে হয় তারা চোখে কিছুই দেখতে পায় না।
রাজাপুর উপজেলায় মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম কুমার ঢিলেঢালা অভিযানের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, একটানা ২২ দিনের ২৪ ঘন্টায় ৬১টি অভিযানের মধ্যে উপজেলায় ২১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ১ লাখ ৮৪ হাজার ১০০ মিটার জাল জব্দ যার মূল্য ২৪ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা। ১৮০কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাছ স্থানীয় এতিম খানায় দেওয়া হয়েছে।