সবাই সফল হতে চায়। কেউ আর্থিকভাবে, কেউ প্রসিদ্ধির ক্ষেত্রে কেউবা অন্যের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে। তবে একজন মুমিনের সফলতা মূলত আল্লাহ তাআলার কাছে হয়।
মাওলানা নোমান বিল্লাহ
যেসব কাজ করলে আল্লাহ তাআলা খুশি হন সেসব কাজ করতে হয়। এছাড়া এমন কিছু কাজ আছে যেগুলোর ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা সরাসরি সফলতা বলেছেন। সেরকম তিনটি কাজ তুলে ধরা হলো।
তওবাকারীরা সফল
তওবা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয় আমল। খাঁটি দিলে তওবা করলে আল্লাহ বান্দার যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে,
হে মুমিনরা, তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর কাছে তওবা করো, তাহলে তোমরা সফলকাম হতে পারবে।’ (সুরা নুর ৩১
আরেক আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘তবে যে ব্যক্তি তওবা করেছে এবং ঈমান এনেছে, সৎ কর্ম করেছে, আশা করা যায়, সে সফলতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (সুরা কাসাস ৬৭)
আত্মশুদ্ধি সফলতার মাধ্যম
আল্লাহ তাআলা মানুষকে মন্দ ও ভালো কাজ করার সামর্থ্য দিয়েছেন। এজন্য একজন মুমিনের কাজ হলে নিজের মনে জাগা মন্দ কাজের ইচ্ছাকে চেপে রেখে ভালো কাজ করে যাওয়া। এজন্য নিজের মনকে বুঝাতে সর্বদা মনকে পরিশুদ্ধ রাখতে হয়।
তাইতো পবিত্র কোরআনে এমন ব্যক্তিকে সফল বলা হয়েছে যে নিজেকে পরিশুদ্ধ রাখে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শপথ প্রাণের আর তাঁর, যিনি তা সামঞ্জস্যপূর্ণ করেছেন, এরপর তাকে তার অসৎ কর্ম ও সৎ কর্মের জ্ঞান দান করেছেন। সেই সফলকাম হয়েছে, যে নিজ আত্মাকে পবিত্র করেছে।’ (সুরা শামস ৭-৯)
নামাজিরা সফল
নামাজ পড়লে আল্লাহ তাআলার সাথে যোগাযোগ বাড়ে। অন্তর পবিত্র থাকে। শয়তানের প্রভাব কমে যায়। সৎসাহসও বাড়ে। তাই যারা নামাজ পড়ে পরকালীন জীবনের দিক থেকে যেমন সফল তেমনই দুনিয়াতেও সফল।
পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করেছে মুমিনরা। যারা তাদের নামাজে আন্তরিকভাবে বিনীত।’ (সুরা মুমিনুন ১-২