ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার নিজ এলাকায় সংবর্ধীত হয়েছেন সদ্য সাফ জয়ী বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নারী ফুটবলার “মাতসুশিমা সুমাইয়া”। রবিবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সুমাইয়ার মা মাতসুশিমা তোমোমি ও তার বাবা মাসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও দিলরুবা ইসলাম বলেন,’সমগ্র বাংলাদেশ যেভাবে খুশি হয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে আমরাও তার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছি। কারণ সুময়াইয়া এই নবাবগঞ্জের সন্তান। আমরা ছোট পরিসরে সুমাইয়াকে সংবর্ধনা দিয়েছি। আগামী জানুয়ারিতে তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এ উপলক্ষে বড় ধরনের একটি টুর্ণামেন্টের আয়োজন করা হবে বলেও জানান নির্বাহী কর্মকর্তা’। এসময় উপস্থিত ছিলেন; নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আসিফ রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসমা আক্তার,উপজেলা প্রকৌশলী মো. জুলফিকার হক চৌধুরী।
একইদিন দুপুরে উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও মাতসুশিমা সুমাইয়াকে গণসংবর্ধনা দিয়েছেন তার গ্রামের লোকজন। প্যানেল চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান লিটন এর সভাপতিত্বে সকল ইউপি সদস্য সহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এসময় চোড়াইন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান লিটন বলেন,’সুমাইয়া আমাদের ইউনিয়নের সন্তান। সুমাইয়ার এই কৃতিত্ব আমাদের গর্বিত করেছে। আমরা আশা করবো সুমাইয়াকে দেখে যেনো আমাদের সন্তানরা শিক্ষা নেয়’।
সুমাইয়ার বাবা মাসুদুর রহমান বলেন,’আমার তিন সন্তান। সুমাইয়া দ্বিতীয়,২০২৩ সাল থেকে সে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের জাতীয় দলে নারী ফুটবলার হিসেবে খেলছেন। আমার বাকি দুই সনান্তান জাহিদ জার্মান ক্লাবে এবং ওমর ফারুক অস্ট্রেলিয়ার ক্লাবে খেলাধুলা করছেন।
উল্লেখ্য যে, নারী সাফজয়ী মহিলা ফুটবল দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন সদস্য মাতসুশিমা সুমাইয়া ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের মো. মাসুদুর রহমান ও মা মাসুশিমা তমমীর কন্যা তিনি।
জানা যায়,নারী সাফজয়ী মাতসুশিমা সুমাইয়া ঢাকা নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি নারী ফুটবল খেলায় বেশ পারদর্শী। তার জন্ম জাপানে। মাতসুশিমা সুমাইয়া তিনি মাসুদ ও তমমী দম্পতির বড় মেয়ে। এছাড়াও এ দম্পতির আরও দুটি ছেলেও রয়েছে। বড় ছেলে মো. ওমর ফারুক অষ্ট্রেলিয়ায় একটি ক্লাবে ফুটবল খেলার সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানান মাতসুশিমা সুমাইয়ার বাবা মাসুদুর রহমান। আর ছোট ছেলে মো. জাহিদ জার্মানীতে আছেন। সেও ফুটবল খেলার প্রতি বেশ অগ্রসর।
সুমাইয়ার বাবা মাসুদুর রহমান বলেন,’মাতসুশিমা সুমাইয়ার ছোটবেলা থেকে ফুটবল খেলার প্রতি বেশ আগ্রহ ছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে তার এই সাফল্য। মেয়ের এ কৃতিত্বে আমরা সকলেই অনেক আনন্দিত। এলাকার মানুষও আজকে মাতসুশিমা সুমাইয়া সংবর্ধনা ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করলেন। গর্বে আমার বুক ভরে গেছে। আমি আমার এলকাবাসীর কাছে ঋণী হয়ে থাকলাম’। আবেগে আপ্লূত হয়ে তিনি আরও বলেন,’আমি দীর্ঘদিন যাবৎ জাপানে থাকার সুবাদে সেখানেই আমি দাম্পত্য জীবন শুরু করি। এরপর মাঝে মাঝে দেশে আসা-যাওয়া করি’।