আজ- বৃহস্পতিবার | ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:৫০
৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশিদের অভাবে ক্ষতির মুখে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্প

বাংলাদেশি পর্যটকদের অভাবে এরই মধ্যে কলকাতার নিউমার্কেট চত্বরের ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে।

এবার বাংলাদেশি পর্যটকদের অভাবে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে হোটেল ব্যবসাও ক্ষতির মুখে।

সারা বছর ভারতে বাংলাদেশি পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকতো। কেউ আসতো উন্নত চিকিৎসার জন্য আবার কেউ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরতে।

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটকরা এলেই তাদের ঘুরতে যাওয়ার প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে শৈল শহর দার্জিলিং।

পূজার মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে দার্জিলিংসহ ডুয়ার্স, কালিম্পং, কার্শিয়াংয়ে ঘুরতে আসে পর্যটকরা। বিভিন্ন দেশ থেকে দার্জিলিংয়ে এই সব চত্বরে বেড়াতে আসাদের মধ্যে সংখ্যায় বেশি থাকতো বাংলাদেশি পর্যটক।

পূজায় আগে যে ভিড়টা দেখা যেতো দার্জিলিংয়ে, সেই ভির চলতি বছরের দেখা যায়নি।

তাছাড়া শীতের মৌসুমের শুরুতেই বাংলাদেশি পর্যটকেরা দার্জিলিং মুখো হয়ে থাকেন। প্রতি বছর এ সময় হাতের মুঠোয় কুয়াশাকে ধরতে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে ভিড় জমান বাংলাদেশের অসংখ্য পর্যটক।

দার্জিলিংয়ের পাহাড়ের চূড়ায় বসে অপরূপ কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখার ক্ষেত্রে এক অন্য মাত্রা পায়। সকালে সূর্যের আলোয় কাঞ্চনজঙ্ঘা যেন এক সোনায় মোড়া পাহাড়। যা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন দর্শনার্থীরা।

কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর ভিসা সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল হলেও ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ চালু করেনি। একমাত্র জরুরি অবস্থাতেই ভারতে আসার ভিসা পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা। ফলে পর্যটন শিল্পে বেশ ভাটা পড়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে বেশ কিছু পর্যটন ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে উত্তরবঙ্গ ট্যুরিজম ব্যবসায়ী মাধব দাস জানিয়েছেন।

মাধব দাস জানান, গত দুই মাস ধরে সেভাবে কোনো ব্যবসা এখানে হচ্ছে না। বর্তমানে বাংলাদেশের ট্যুরিস্ট প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর আগেও এই সময় আমাদের এজেন্সিতে ভিড় উপচে পড়তো। এখন আর বাংলাদেশিদের বুকিং সেভাবে আসছে না।

সিকিম লাগোয়া তিস্তা নদীর ধার থেকে ডুয়ার্স এলাকা পর্যন্ত বেশ কিছু ছোট-বড় হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। শীতের প্রাক্কালে এ সব অঞ্চলের অনেক বাংলাদেশি নাগরিক ডুয়ার্সের জঙ্গল সাফারি উপভোগ করতে আসেন। কিন্তু চলতি বছরে বাংলাদেশি পর্যটকদের দেখা নেই। ফলে এখানকার ছোট-ছোট ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পড়েছে।

হোটেল ব্যবসার পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন গাড়ি চালকেরাও। দার্জিলিং যাওয়ার জন্য সব পর্যটকদের আসতে হয় নিউ জলপাইগুড়িতে। সেখান থেকে গাড়ি বুকিং করে পছন্দের গন্তব্যস্থলে পৌঁছায়।

সর্বশেষ খবর

ভিডিও সংবাদ

Play Video