আজ- বুধবার | ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:১৮
১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওরিওন নেবুলা’র ছবি তুলে সাড়া ফেলেছেন তরুন ফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন

ওরিয়ন নেবুলা বা এম-৪২ (মেসিয়ার-৪২) আমাদের মহাবিশ্বের এক বিখ্যাত এবং উজ্জ্বল নীহারিকা, যা কালপুরুষের নীহারিকা নামেও পরিচিত। এটি পৃথিবী থেকে সবচেয়ে কাছের বৃহৎ নক্ষত্র-গঠনকারী অঞ্চল। নীহারিকাটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১,৫০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এবং এর ব্যাস ২৫ আলোকবর্ষ, যা আকাশের অন্যতম উজ্জ্বল এবং সক্রিয় নক্ষত্রীয় অঞ্চলের মধ্যে একটি।

প্রাচীনকালে ওরিয়ন নেবুলা বিভিন্ন সভ্যতায় বৈচিত্র্যময় প্রতীকী অর্থ বহন করতো। মায়া সভ্যতায় একে ‍‍`সৃষ্টির আগুন‍‍` হিসেবে বিবেচিত হত যা তাদের দৃষ্টিতে মহাবিশ্বের জন্মের প্রতীক ছিল। অন্যান্য সভ্যতায়ও এই নীহারিকাকে নিয়ে নানা ধরনের ব্যাখ্যা ছিল।

 

সেই গ্রেট ওরিয়ন নেবুলা এবার ধরা দিলো বাংলাদেশী তরুন ফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন এর ক্যামেরায়। ঢাকার ছাদ থেকে নিজের হাতে ডিজাইন করা ৯০০ মিলিমিটার অ্যাপারচার এবং ৮.৮ ফোকাল রেশিওর টেলিস্কোপ ব্যবহার করে তিনি ওরিয়ন নেবুলার রঙিন ছবি ধারণ করেছেন। যা কোনো সাধারণ টেলিস্কোপের কাজ নয়। এই টেলিস্কোপটি সম্পূর্ণরূপে তার নিজের হাতে ডিজাইন ও তৈরি করা।

 

ছবিটি ধারণ করতে জুবায়েরের প্রায় ৪.৫ ঘণ্টা সময় লেগেছে। ঢাকার মতো আলোকদূষণে ভরা এলাকায় সঠিক ছবি পাওয়ার জন্য তিনি একটি ন্যারোব্যান্ড ফিল্টার ব্যবহার করেছেন, যা আলোর দূষণ কমিয়ে ছবির স্পষ্টতা বৃদ্ধি করে। জুবায়েরের এই প্রয়াস শুধুমাত্র তার প্রযুক্তিগত দক্ষতারই প্রমাণ নয় বরং এটি মহাকাশ গবেষণায় বাংলাদেশের সম্ভাবনার প্রতীকও হয়ে উঠেছে।

মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন দিয়ে হেলিকপ্টার বানানো কিংবা প্লাস্টিক দিয়ে রোবট তৈরি নয় বরং জুবায়ের নিজস্ব নকশায় টেলিস্কোপ তৈরি করে ঢাকায় বসেই ওরিয়ন নেবুলার ছবি তুলেছেন। এই চমকপ্রদ কাজ বাংলাদেশে খুব কমই প্রচার পেয়েছে। তবে এমন উদ্ভাবন ও সাহসিকতা যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে।জুবায়েরের এই কাজ মহাবিশ্বের অপার সৌন্দর্যকে আমাদের আরও কাছে এনে দিয়েছে এবং প্রমাণ করেছে যে সঠিক প্রয়াস এবং অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বড় অর্জন সম্ভব।

 

ছবিটি ধারণ করতে জুবায়েরের প্রায় ৪.৫ ঘণ্টা সময় লেগেছে। ঢাকার মতো আলোকদূষণে ভরা এলাকায় সঠিক ছবি পাওয়ার জন্য তিনি একটি ন্যারোব্যান্ড ফিল্টার ব্যবহার করেছেন, যা আলোর দূষণ কমিয়ে ছবির স্পষ্টতা বৃদ্ধি করে। জুবায়েরের এই প্রয়াস শুধুমাত্র তার প্রযুক্তিগত দক্ষতারই প্রমাণ নয় বরং এটি মহাকাশ গবেষণায় বাংলাদেশের সম্ভাবনার প্রতীকও হয়ে উঠেছে।

মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন দিয়ে হেলিকপ্টার বানানো কিংবা প্লাস্টিক দিয়ে রোবট তৈরি নয় বরং জুবায়ের নিজস্ব নকশায় টেলিস্কোপ তৈরি করে ঢাকায় বসেই ওরিয়ন নেবুলার ছবি তুলেছেন। এই চমকপ্রদ কাজ বাংলাদেশে খুব কমই প্রচার পেয়েছে। তবে এমন উদ্ভাবন ও সাহসিকতা যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে।

জুবায়েরের এই কাজ মহাবিশ্বের অপার সৌন্দর্যকে আমাদের আরও কাছে এনে দিয়েছে এবং প্রমাণ করেছে যে সঠিক প্রয়াস এবং অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বড় অর্জন সম্ভব।

সর্বশেষ খবর

ভিডিও সংবাদ

Play Video

এইরকম আরো খবর