৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণে হত্যা মামলায় জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জলিল মাদবরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
রবিবার (০৩ নভেম্বর ) সকালে নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফারুক আহমেদ।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয় শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন আলপনা টাওয়ার এলাকা থেকে এম. এ. জলিল ওরফে জলিল মাদবর ওরফে বোমা জলিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব-১০ সুত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার চার রাস্তার মোড়ে ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করা আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় আক্রমণকারীরা ককটেল বিস্ফোরণসহ গুলিবর্ষণ করলে সেখানে বেশ কয়েকজন আহত ও নিহত হয়।
এ ঘটনায় গত ২০ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে ২’শ থেকে ৩’শ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নম্বর-৫৪। মামলার বিষয়ে জানতে পেরে বিলাসপুরের যুবলীগ নেতা জলিল মাদবরসহ অন্যান্য আসামীরা আত্মগোপনে চলে যান।পরে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঐ ঘটনার সাথে জড়িত জলিল মাদবরকে শাহবাগ থানাধীন আলপনা টাওয়ার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত জলিল মাদবর উল্লেখিত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছে। পরে তাকে যাত্রাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফারুক আহমেদ জানান, “র্যাব-১০ জলিল মাদবরকে শনিবার সন্ধায় আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। রবিবার (০৩ নভেম্বর) সকালে তাকে গত ৫ আগস্ট নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণের অপরাধে যাত্রাবাড়ী থানার ৫৪নং মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।”
জাজিরা থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতা জলিল মাদবরের বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরক, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ও লুটপাটসহ অন্তত ৪৩ টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় অব্যাহতি পেলেও বেশ কিছু মামলায় তিনি পলাতক আসামী ছিলেন।