সিলেটে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় নেতার সামনেই ‘ব্যস্ততা’ দেখানোর ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন সিলেটের বিএনপি নেতারা।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সিলেট নগরীর মালঞ্চ কমিউনিটি সেন্টারে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ ঘটনা ঘটে। এতে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন কিছু না বললেও অন্য একজন বক্তা বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠান শুরু না হয়ে বিকেল চারটার দিকে মঞ্চে ওঠেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। অনুষ্ঠান শুরুর পরপরই বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ব্যস্ততা দেখিয়ে নিজের বক্তব্য দিয়েই চলে যান। তার সঙ্গে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদীসহ বেশ কয়েকজন নেতা।
বিষয়টি উপস্থিত বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে। অনেকেই তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের এতো ব্যস্ততা। যার শেষ নেই। কে নির্বাচন করবে, কে কোন আসনে প্রার্থী হবে এটা নিয়ে আমাদের এতো ব্যস্ততা বেড়েছে, যা বলার শেষ নেই। দল গোছাতে কারো মাথাব্যথা নেই। অথচ একটি রাজনৈতিক দল কীভাবে দল গোছাচ্ছে, কীভাবে তাদের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এসব কেউ দেখছে না। আমরা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে দৌড় শুরু করেছি।’
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের অনুষ্ঠানস্থল থেকে বিদায় নিয়ে সিলেট নগরীর ২৫নং ওয়ার্ডের কাজিরখলা এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, সিসিকের সাবেক প্যানেল মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুক, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুবসহ অনেকে।
এ প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, এটি কোনো দলীয় অনুষ্ঠান ছিল না। কিন্তু আমরা আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছি। পরে অনুষ্ঠান দেরি হওয়ায় আমাদের পূর্ব কর্মসূচি থাকায় খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বক্তব্য দেওয়ার পরে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেছি।
তিনি বলেন, যিনি (আরিফুল হক) এ বিষয়ে কথা বলেছেন, তিনি বিএনপির দুর্দিনে ছিলেন না। তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন। তার কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য আশা করা যায়।