কুমিল্লায় লালমাইয়ে মো. এজাহার উদ্দিন বাবলা (২০) নামের এক যুবককে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখেন তার স্ত্রী। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলার লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দতিয়ারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এজহার উদ্দিন বাবলা সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার এলাকার চণ্ডিপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। ঘাতক স্ত্রী জান্নাতুন নাঈম (১৯) কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ডলুয়াপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের মেয়ে। তারা উভয়ে লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দুতিয়াপুর এলাকার কামরুল হাসানের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলার লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দতিয়ারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এজহার উদ্দিন বাবলা সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার এলাকার চণ্ডিপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। ঘাতক স্ত্রী জান্নাতুন নাঈম (১৯) কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ডলুয়াপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের মেয়ে। তারা উভয়ে লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দুতিয়াপুর এলাকার কামরুল হাসানের বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন।
শুক্রবার রাতেও দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী জান্নাতুন স্বামী বাবলার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর জন্য বাবলার মরদেহ ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পুলিশকে ফোন করে জানায়, তার স্বামী আত্মহত্যা করেছে।
ওসি শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে থানায় নিয়ে আসে। মরদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে অভিযুক্ত জান্নাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে এলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন।
মরদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জান্নাতুনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে।