এখন চলছে অক্টোবর মাস। আর কিছুদিন পরই শীত। যদিও শীত আসার আগে তার আমেজ পাওয়া যাচ্ছে এখন থেকেই, সকালে একটু ঠান্ডাও পড়ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসে। সেই পরিবর্তন দেখা দেয় ঘরের জিনিসপত্রেও। এর মধ্যে অন্যতম রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ। আবার শীতকালে খাদ্য সংরক্ষণে সমস্যা কিছুটা কম। এক্ষেত্রে ফ্রিজের সঠিক তাপমাত্রায় রাখতে হবে, এতে বিদ্যুৎ বিলও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
শীতল আবহাওয়ায় খাবার সংরক্ষণে সাহায্য করে। সাধারণত গরমে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বাড়তে থাকে যাতে খাবার নষ্ট হয়। তবে শীতে এমনটা হয় না। তাই কিছু খাবার ফ্রিজে না রাখলেও ভালো থাকে। এ কারণে শীতের সময় ফ্রিজের অপর চাপ কম কম থাকে।
আর এ কারণে ফ্রিজের তাপমাত্রা কমিয়ে দিলেও সমস্যা হয় না। শীতের পুরো সময়টা সীমিত তাপমাত্রায় ফ্রিজ চালাতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে এতে করে বিদ্যুৎ বিল কিছুটা কম আসে।
শীতের সময় ফ্রিজে অতিরিক্ত বরফ সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয় না। সেইসঙ্গে ফ্রিজে পানিও রাখা বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি বাজারের তাজা সবজিও ফ্রিজ ছাড়াই ভালো থাকে। রান্না করা খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয় না। সব মিলিয়ে কেবল কাঁচা মাছ-মাংস ডিপ ফ্রিজে রাখার দরকার থাকে। নরমাল ফ্রিজের ব্যবহার শীতে এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায়। আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েই বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব হয়। তবে সেক্ষেত্রে বার বার দরজা খোলা-বন্ধ না করাই ভালো। বেশিক্ষণ দরজা খুলে রাখলেও রেফ্রিজারেটরের শীতলতা কমে যায়।