জমকালো আয়োজনে পর্দা উঠেছে দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক মেলা গ্লোবাল ভিলেজের ২৯তম আসরের। যেখানে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশও। মেলায় মূল মঞ্চের পাশেই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে আছে বাংলাদেশি প্যাভিলিয়ন। ঘুরতে আসা প্রবাসীরাও মেলায় বাংলাদেশি প্যাভিলিয়নের দেখা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আন্তর্জাতিক এ মেলা প্রতি বছর অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী বছরের এপ্রিল পর্যন্ত মোট ছয় মাস স্থায়ী হয়। প্রতিদিন বিশ্বের নানা প্রান্তের হাজারো মানুষের ঢল নামে গ্লোবাল ভিলেজে। এবারের আসরে সপ্তাহের প্রতি শুক্র ও শনিবার রাত ৯টায় গ্লোবাল ভিলেজের আকাশ আতশবাজিতে আলোকিত করা হবে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে।
মেলার এবারের আসরে মোট ৩০টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। সেই সঙ্গে ৩ হাজার ৫০০টি আউটলেট ছাড়াও প্রায় আড়াইশ’ খাবারের দোকান রয়েছে। এছাড়া ছোটদের পাশাপাশি বড়দের জন্যও প্রায় ২ শতাধিক গেইমস বা রাইডও রয়েছে। অন্যদিকে ৩ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছরের প্রবীণদের জন্য মেলায় বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়েছে।
২০১২ সালের আগে আন্তর্জাতিক এই মেলায় বিনামূল্যে অংশ নেয়ার সুযোগ ছিল। সে সময় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ গ্লোবাল ভিলেজে অংশ নেয়। তবে পরবর্তীতে বিনামূল্যে অংশ নেয়ার সুযোগ বাতিল হলে কেবল ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ছোট পরিসরে মেলায় অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ।
আমিরাতে বাংলাদেশের মিশনগুলো জানিয়েছে, সারা বিশ্ব থেকে পর্যটক ও নাগরিকরা আন্তর্জাতিক এই মেলায় ঘুরতে আসেন। এমন মেলায় বাংলাদেশ নামের প্যাভিলিয়ন থাকা মানেই বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরার অন্যতম সুযোগ। এ ক্ষেত্রে গ্লোবাল ভিলেজে বাংলাদেশের একক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে দুবাইয়ে বসবাসরত প্রবাসী ছাড়াও দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী বা কোম্পানিগুলোর এগিয়ে আসার বিকল্প নেই। সবাই এগিয়ে আসলে এবং দেশীয় প্যাভিলিয়ন থেকে কেনাকাটা করলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নিজস্ব প্যাভিলিয়নও হতে পারে বলে মনে করেন অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এবারের আসরে কাউন্টার থেকে গ্লোবাল ভিলেজে প্রবেশের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ দিরহাম। আর সরকারি ছুটির দিনে টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ দিরহাম।