বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণের সরকারি সিদ্ধান্তে হতাশ হয়ে পড়েছেন দ্বীপবাসীরা। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত এই প্রবালদ্বীপের উপর আরোপিত এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে সাড়ে ১০ হাজার মানুষের বসবাস। দ্বীপের ৮০ শতাংশ মানুষ পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। এই দ্বীপের অধিকাংশ পরিবার দরিদ্র। বছরে তিন-চার মাস পর্যটক এই দ্বীপে আসে। পর্যটন মৌসুমের আয় দিয়ে সারা বছর জীবিকা নির্বাহ করেন দ্বীপের মানুষ। এখন যদি দ্বীপে পর্যটক আসা সীমিত করা হয় তাহলে এখানকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঝুঁকিতে পড়বে হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ। নভেম্বরের শুরুতে ইনানী জেটিঘাট দিয়ে পর্যটকবাহী দুটি জাহাজ চলাচল করবে। এতে করে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আশানুরূপ পর্যটক আসতে পারবে। সেন্টমার্টিনে পর্যাপ্ত পর্যটক না এলে দ্বীপের মানুষকে সংসার চালাতেও হিমশিম খেতে হয়। সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে সরকারের হঠাৎ এ রকম সিদ্ধান্তে তারা চরম হতাশার মধ্যে পড়েছেন। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানান তারা।
এর আগে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেন্টমার্টিনে নভেম্বর মাসে পর্যটক যেতে পারবে, তবে রাত্রিযাপন করতে পারবে না। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ ২ হাজার জন পর্যটক রাত্রিযাপন করতে পারবে। ফেব্রুয়ারি মাসে সেন্টমার্টিনে পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। তখন সেন্টমার্টিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে।