‘কী ছিলে আমার’ গানের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ গতকাল (১৯ অক্টোবর) রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীর রামপুরায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। সেখান থেকেই তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। চার থেকে পাঁচ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
নব্বই দশকের তুমুল শ্রোতাপ্রিয় এ শিল্পীর মৃত্যুতে ভক্ত-অনুরাগী ও সংগীত সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মৃতিচারণ করে নানা কথা লিখছেন।
দোহা ভাই জানালেন, গত ৪ দিন যাবত মনি কিশোর বাসায় ফিরছে না এবং কিছুক্ষণ আগে বাড়ির গেট কিপার মনি কিশোরের ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটটি চেক করতে গিয়ে দেখে সেটি ভিতর থেকে বন্ধ করা, অনেকক্ষণ যাবত দরজা নক করার পর ও কেউ সেটি খুলছে না, মোবাইল ফোন বন্ধ এবং কিছুটা দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমি তৎক্ষণাৎ নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বললাম। আমার কলটি কেটে এক্ষুণি ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে ঘটনা স্থলের ঠিকানা দিন এবং বিষয়টি তাদেরকে অবহিত করুন প্লিজ এবং কি কথা হলো আমাকে দ্রুত জানান।’
আদনান বাবু ১৯৯১ সালে গান ‘রং নাম্বার’ অ্যালমামের মাধ্যমে গানে ভুবনে আসেন। এটির প্রায় প্রত্যেকটি গান তুমুল শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করেছিল। তিনি বর্তমানে গান থেকে দূরে রয়েছেন। বেশ কয়েক বছর ধরে গার্মেন্টস ব্যবসা করছেন। পাশাপাশি চালাচ্ছেন একটি এনজিও। তিনি যখন ‘রং নাম্বার’ অ্যালবাম প্রকাশ করেন, তখনো একটি বায়িং হাউসে চাকরি করতেন এ শিল্পী। ‘৮৯ থেকে ’৯৫ সাল পর্যন্ত সেই চাকরি করেছেন।
চাকরিরত অবস্থায় ‘রং নাম্বার’ অ্যালবামটি প্রকাশ করেন তিনি। এরপর আরও ৮-১০টি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন। তার অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘রং নাম্বার টু’, ‘আনন্দ’, ‘রং বেরং’, ‘চেয়েছি প্রেম’, ‘নিশ্বাসে আছ তুমি’ প্রভৃতি। ১০-১২টি মিশ্র অ্যালবামেও গান গেয়েছেন। তার শেষ অ্যালবাম ‘হৃদয়ে আছো তুমি’ প্রকাশিত হয় ২০১২ সালে, যার কাজ শুরু করেন ২০০৭ সালে। সংগীতার ব্যানার থেকে অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়। ২০১৯ সালে একুশে টিভিতে একটি গানের অনুষ্ঠানে শেষ পারফর্ম করেন এ শিল্পী। ২০১৬ সাল পর্যন্ত ছয় বছর ধরে বিটিভিতে ‘গীতি আলাপন’ নামে একটি গানের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করেছেন। অনুষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেলে আর বিটিভিতে কাজ করা হয়নি।