জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিকের কণ্ঠে ‘ইয়েস মুশফিক’ শব্দে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে আহত লেখক সালেহ আহমেদ খসরু।
তিনি বলেন, প্রশ্নোত্তর পর্বে স্টেট ডিপার্টমেন্ট বা জাতিসংঘে স্টিফেন দুজারিক যখন ‘ইয়েস মুশফিক’, বলে মুশফিকুল ফজল আনসারীর প্রশ্নকে স্বাগত জানাতেন তখন আমরা ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত বোধ করতাম। এই যে মুশফিক শব্দটি সেটি আমাকে ভীষণ অনুপ্রাণিত করতো। তখন ভাবতাম আমারই তো লড়তে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে আহত হওয়া কবি, লেখকদের আন্দোলনের দিনগুলোর কথা তুলে ধরা হয়। এই পর্বে বিভিন্ন বয়সের ১৭ জন লেখক ও কবি তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি ছোট বই প্রকাশ করেছে কালের ধ্বনি। অনুষ্ঠানে এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। পরে ছিল অভ্যুত্থান–পরবর্তী পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে আলোচনা।
অভ্যুত্থানে আহত কবি ও লেখকদের মধ্যে অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন হাসান আফিফ, শাহ হুজাইফা ফেরদৌস, হাসান ইমাম, মাসুক নুর, শেরিফ ফারুকী, হাসনাত আবদুল্লাহ, কাদের মাজহার, ইব্রাহিম নিরব, তুহিন খান, আল নাহিয়ান, মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ, মোরশেদ আলম, চঞ্চল বাশার, আক্তার জামান, হানিফ মোল্লা ও সালেহ আহমদ খসরু। সংগীত পরিবেশন করেন রিয়াজুল ইসলাম ও পার্শা মাহজাবিন। সঞ্চালনা করেন কালের ধ্বনির সম্পাদক কবি ইমরান মাহফুজ ও লেখক জুবায়ের ইবনে কামাল।