নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহীর বিনোদপুর মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় অবস্থিত সাবিনা কটেজ নামক একটি বাড়িতে পুঠিয়া ধোপা পাড়া মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের সাবেক প্রধান শিক্ষক শফিউল ইসলাম কে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেছেন সেই বাড়ির ভাড়াটিয়া দুই শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানাই, বাড়ির মালিক সাবিনা ইয়াসমিন আমাদের বলেন আজ আমার মামা বাড়িতে আসবে। এমনিতেই বাড়িতে তার কোন রিলেটিভ আসলে আমাদের সাথে তিনি পরিচয় করিয়ে দেয়,কিন্তু তার মামা বাড়িতে আসলে আমাদের সাথে পরিচয় করানো তো দূরের কথা তিনি তাকে গোপনে রুমে নিয়ে যায়। এছাড়াও প্রতিনিয়ত আমরা বাইরে ডাইনিং এ খাওয়াদাওয়া করি। কিন্তু তার মামা আসলে তিনি রুমেই খাওয়াদাওয়া করে।
শিক্ষার্থীর আরও বলেন,বাড়ির মালিক সাবিনা ইয়াসমিন আমাদের বিকেল ৫ টায় বলে তার মামা চলে গেছে। তিন্তু তার কথায় আমাদের প্রথমেই সন্দেহ হয় এবং তার রুম থেকে সিগারেটের গন্ধ এবং অশ্লীল আওয়াজ পাওয়া যায়। এবং আমরা ওয়াশরুমের উদ্দেশ্যে বের হলে দেখতে পাই বাড়িওয়ালা সাবিনা ইয়াসমিনের মামা আমাদের রুমের সামনে বিভাস্ত্র অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
এরপরে সে আমাকে না দেখলেও আমি তাকে দেখে ভয়ে রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেই এবং চিন্তায় পড়ে যায় যে আমি আলাদা রুমে থাকি আমার সাথেও খারাপ কিছু যদি হয়ে যায়। এর পরে আমি আমার বন্ধুদের ফোন দেয়। ফোন পেয়ে আমার বন্ধুরা আসে এরপর তাদের আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন।
তারপর ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে ঘটনাস্থলে আরএমপি মতিহার থানা পুলিশ আসেন এবং তাদের থানায় নিয়ে যায়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বাড়ির মালিক সাবিনা ইয়াসমিন একদিন এই ব্যক্তির ছবি তার ফোন আমাদের দেখায় এবং বলে তিনি পুঠিয়া ধোপা পাড়া মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের সাবেক প্রধান শিক্ষক শফিউল ইসলাম। আমি তাকে অনেক পছন্দ করি এবং সে আমাকে অনেক উপহার দেয়।জানা যায় বাড়ির মালিক সাবিনা ইয়াসমিন পুঠিয়া ধোপাপাড়া মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ।
এ বিষয়ে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আরিফুল ইসলাম বলেন,তাদের কোন অভিযোগ না থাকার কারণে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।