ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে বয়স বিবেচনায় কনিষ্ঠ দুই উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে ক্রমবিন্যাসে তারা বর্ষীয়ান ৮ উপদেষ্টার ওপরেই আছেন। অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর শেষ দিকে নাম থাকা এই দুই উপদেষ্টার ক্রমবিন্যাসে এগিয়ে যাওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এটি একদিকে যেমন চমক, তেমনই যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। বোঝা যাচ্ছে, এ সরকারের কাছে ছাত্র-তরুণরা অধিক গুরুত্ব পাবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের ক্রমবিন্যাস, দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তরের তথ্য সংযোজিত করা আছে। সেখানে দেখা যায়, প্রধান উপদেষ্টাকে একমাত্র ক্রমে রেখে বাকি উপদেষ্টাদের জন্য আলাদা ক্রমবিন্যাস করা।
ক্রম অনুযায়ী ১১ নম্বরে রয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রলালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের নাম। এরপর ১২ নম্বরে রয়েছে যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নাম।
আলোচিত এই দুই উপদেষ্টার নামের আগে ক্রম ১ থেকে ১০ পর্যন্ত দশজন উপদেষ্টার নাম রয়েছে। তারা হলেন— সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ড. আসিফ নজরুল, হাসান আরিফ, মো. তৌহিদ হোসেন, লে. জে. (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আদিলুর রহমান খান, আলী ইমাম মজুমদার, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এরপর নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের পরে ক্রম ১৩ থেকে ২০ পর্যন্ত রয়েছে ৮ উপদেষ্টার নাম। তারা হলেন— ফারুক ই আযম বীর প্রতীক, ব্রি. জে. (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, নূরজাহান বেগম, অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, ফরিদা আখতার, শারমিন এস মুরশিদ, ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন ও সুপ্রদীপ চাকমা।
এই ক্রমবিন্যাস ও ওয়াররেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারে দুই উপদেষ্টা নাহিদ ও আসিফের গুরুত্ব বেড়েছে। গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর দুই উপদেষ্টার নাম ছিল শেষের দিকে। তবে গেল ১৭ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আরও চারজন উপদেষ্টা যুক্ত হওয়ার পর নাহিদ ও আসিফের নাম ওপরের দিকেই উঠে এল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বয়সে তরুণ দুই উপদেষ্টাকে গুরুত্ব দেওয়া কেবল চমকই নয়, যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহীও। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তবর্তী সরকার যে ছাত্র-তরুণদের অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে এটি তারই প্রমাণ।
প্রসঙ্গত, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম। এটি একটি প্রোটোকল তালিকা বা রাষ্ট্রের নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের পদসমূহের ক্রমবিন্যাস। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে কে কোথায় বসবেন তা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়।
(সীমান্তবাংলা/২০আগস্ট/জে আর)